ফের টক টু মেয়র, ফোনে যাবতীয় সমস্যা শুনবেন ফিরহাদ
সমস্যা নিয়ে পুরভবনে যেতে হবে না। এক ফোনেই পৌঁছনো যাবে পুরপ্রশাসকের কাছে। সমস্যার কথা শুনবেন খোদ পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। প্রত্যেক শনিবার দুপুর ৩টে থেকে ৪টা, এক ঘন্টা ফোনে শহরবাসীর যাবতীয় অভাব- অভিযোগ শুনতেন ফিরহাদ হাকিম। কর্মসূচিতে তাঁর পাশেই বসে থাকতেন বিভিন্ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। অভিযোগ সরাসরি পৌঁছে দেওয়া হত আধিকারিকদের কাছে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই হত সমস্যার সমাধান। পরে পুরবোর্ড ভেঙে যাওয়ার পর ‘টক টু KMC’-নামে এই কর্মসূচি জারি রেখেছিলেন পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু ভোটের জন্য ভেঙে দেওয়া হয় কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলী। পুরপ্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। বর্তমানে ভোটপর্ব শেষ। একুশের নির্বাচনের সমাপ্তির পর ফের কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদে ফিরেছেন ফিরহাদ হাকিম। এবার শহরবাসীর সমস্যার কথা শোনার জন্য ফের এই কর্মসূচি শুরু করছেন ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, প্রত্যেক সপ্তাহের শনিবার বিকেল ৩ টে থেকে ৪টা পর্যন্ত, ১ ঘণ্টা শহরবাসীর যাবতীয় সমস্যার কথা শুনবেন পুরপ্রশাসক ফিরহাদ। 18005721213 নম্বরে ফোন করে তাঁকে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন শহরবাসী। অতীতে বহু মানুষ এই কর্মসূচিতে উপকৃত হয়েছেন। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সমস্যার সমাধানে পুরভবনে আসতে হবে না সাধারণ মানুষকে। ফোনে সরাসরি তাঁরা সমস্যার কথা জানাতে পারবেন ফিরহাদ হাকিমকেই।
এদিকে, রাজ্যের আট দফায় বিধানসভা ভোট শেষ। এবার কি রাজ্যের ১১২ পুরসভায় ভোট? কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ যে গতিতে ক্রমবর্ধমান তাতে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তারা মনে করছে এখনই পুরভোট করা সম্ভব নয়। তবে ৫ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত প্রাথমিক ভাবে নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।
এই মুহূর্তে রাজ্যে কলকাতা-সহ ১১২ পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেখানে প্রশাসক বা প্রশাসকমন্ডলী বসানো ছিল। এর একটা বড় অংশেরই মেয়াদ শেষ হয়েছে দু বছর আগে। এক সঙ্গে সব পুরসভার ভোট হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। কারণ রাজ্য সরকার উত্তর ২৪ পরগনার ছয় পুরসভাকে নিয়ে একটি বৃহৎ পুরনিগম তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। এছাড়াও বালি পুরসভাকে হাওড়া পুর নিগমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। সেইমতো ওয়ার্ডের পুনর্বিন্যাস করে বালি পুরসভার ৩৫ ওয়ার্ডকে হাওড়া পুর নিগমের ১৫ ওয়ার্ডে পরিণত করা হয়। কিন্তু বিধানসভা ভোট ঘোষণার আগে রাজনৈতিক কারণে রাজ্য সরকার আবার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বালি পুরসভাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এজন্য খসড়াও তৈরি করা হয়। তাই এখনই পুরভোট হলে ১১২ পুরসভায় ভোট হবে, না ১০৫ পুরসভায়, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সবার আগে।