রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

আজ থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন, মিশ্র প্রতিক্রিয়া যাত্রীদের

May 6, 2021 | 2 min read

করোনা (COVID 19) পরিস্থিতি সামলানোর জন্য সঠিক পদক্ষেপ বলে কেউ স্বাগত জানালেন। কেউ আবার ফের অনেক মানুষের রুটিরুজি হারানোর ভয়, যাতায়াতের সমস্যার কথা ভেবে ক্ষোভও প্রকাশ করলেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই করোনা পরিস্থিতি সামলাতে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই নিয়েই এরকম মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল। 


এদিন মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ জারি করেন বিকেলের দিকে। অফিস ফেরত ভিড় তখন শুরু হয়ে গিয়েছে হাওড়া স্টেশনে(Howrah Station)। ব্যান্ডেলের (Bandel) বাসিন্দা অজিত মণ্ডল বিবাদী বাগে বেসরকারি অফিসে কাজ করেন। তিনি বলেন, এভাবে লোকাল ট্রেন (Local Train) একেবারে বন্ধ না করে নিয়ন্ত্রিতভাবে চালানো যেত। সড়কপথে আসতে সময়, খরচ সবই তো দ্বিগুণ, তিনগুণ লাগবে। 


পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা শ্রীমন্ত চক্রবর্তী গত বছর লকডাউনে নিজের বাইক নিয়েই বেশিরভাগ সময় যাতায়াত করেছেন কলকাতায়। ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় আর বাইক নিয়ে এতটা রাস্তা আসেননি। তিনি বলেন, এখন তো তেলের দাম যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে বাইক চালানো যাবে না। কী যে হবে, তাই ভাবছি। হাওড়া স্টেশনের বাইরে হকার, ছোট ব্যবসায়ীদের কপালেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ। সালকিয়ার বাসিন্দা শেখ আক্রমের ফলের দোকান স্টেশনের বাইরে। তিনি বলেন, আমরা এবার কীভাবে বাঁচব, আল্লাই জানেন। ছ’মাস বন্ধ রাখার পর দোকান লাগিয়েছিলাম। ছ’মাসের মধ্যে আবার এই ধাক্কা। তবে এরকম কড়া পদক্ষেপ ছাড়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কোনওভাবে সামলানো যাবে না বলে মনে করছেন ফুলেশ্বরের বাসিন্দা নিত্যযাত্রী অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। 


শিয়ালদহেও কমবেশি একই মতামত পাওয়া গেল নিত্যযাত্রীদের থেকে। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে চলেছেন কোলে মার্কেটে সব্জি নিয়ে আসার কাজ করা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। রানাঘাটের সব্জিচাষী কার্তিক মণ্ডল বলেন, কিছু ট্রেন চললেও আমরা যেভাবে হোক মালপত্র নিয়ে যেতে পারতাম। সব সব্জি হয়তো এবার পচেই নষ্ট হবে। তবে শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রেনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক যাত্রী বললেন, এমন সিদ্ধান্ত কয়েকদিন আগে নিলে ভালো হতো। দেরিতে হলেও সরকারের কড়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা।


এদিকে, অফিসযাত্রীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার দাবিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিল সিটিজেন্স ফোরাম। সংগঠনের দাবি, রাজ্য সরকার লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। এই অবস্থায় অফিসযাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হবে। অফিসে যাওয়ার তাগিদে বাসে ভিড় হবে, ছোটগাড়িতে বেশি দর হাঁকা হবে। এজন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। নইলে যে উদ্দেশ্যে ট্রেন বন্ধ করা হচ্ছে, তার সুফল মিলবে না। বুধবার ফোরামের সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী শৈলেন পর্বত এনিয়ে জেলাশাসকের কাছে ফ্যাক্স ও ইমেল পাঠিয়েছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Passengers, #Bengal, #local train, #covid-19

আরো দেখুন