সংবাদমাধ্যমকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন, নির্বাচন কমিশনকে বার্তা সুপ্রিম কোর্টের
অবশেষে ব্যর্থ হল সব চেষ্টা। শীর্ষ আদালতে গিয়েও স্বস্তি পেল না কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য কমিশনকে দায়ী করে যে মন্তব্য করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট, তা এবার সমর্থন করল সুপ্রিম কোর্টও (Supreme Court)। এই মন্তব্য যাতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম না দেখায়, নির্বাচন কমিশনের সেই আবেদনও খারিজ করে দিল আদালত। পাশাপাশি দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের বিভিন্ন হাই কোর্টগুলি যেভাবে একাধিক পদক্ষেপ করছে, তারও ভূয়সী প্রশংসা করে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
সম্প্রতি করোনা সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় নির্বাচন কমিশনকেই দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী করেছিলেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কমিশনের ভূমিকার তীব্র ভর্ৎসনাও করে আদালত। শুধু তাই নয়, মহামারীর দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। আর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও সেই নিয়ে খবর পরিবেশন করে।
স্পষ্টতই হাই কোর্টের এই পর্যবেক্ষনে অখুশি হয় নির্বাচন কমিশন। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কমিশনের আধিকারিকরা। ওই মন্তব্য খারিজ এবং সংবাদমাধ্যমের ওই ধরনের খবর পরিবেশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আরজিও জানান। কিন্তু সেখানেও এবার ধাক্কা খেল তারা। এদিন রায়ে আদালত সাফ জানিয়েছে, মাদ্রাজ হাই কোর্টের ওই মন্তব্য খুবই রূঢ় হলেও এটা কখনই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করতে পারে না। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকে এই সংক্রান্ত খবর পরিবেশনে মানাও করা যায় না। এটা তাদের বাক স্বাধীনতা খর্ব করার সমান।
এখানেই শেষ নয়। অন্যান্য আদালতেও করোনা নিয়ে কমিশনের ভূমিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলা চলছে। সেই শুনানি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের খবর পরিবেশন করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে কমিশন আর্জি জানিয়েছিল। তাও খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়েছে, এই আরজি মেনে নেওয়া মানে পিছিয়ে পড়া মানসিকতার প্রমাণ দেওয়া। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া ঠিক নয়।