৬৫ শতাংশ নব নির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে রয়েছে মামলা
বিধানসভায় বিজেপি’র নব নির্বাচিত বিধায়কের মধ্যে ৬৫ শতাংশের বিরুদ্ধেই আদালতে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারায় ফৌজদারি মামলা চলছে। এর মধ্যে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ সংক্রান্ত মামলা রয়েছে অর্ধেকের বেশি (৫১ শতাংশ) বিধায়কের বিরুদ্ধে। খুন, খুনের চেষ্টা, মহিলা ঘটিত অপরাধ সহ যে সব মামলায় ৫ বছর বা তার বেশি জেল হতে পারে, সেগুলিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীদেরই দাখিল করা হলফনামার ভিত্তিতে বুধবার যে রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি’র ৭৭ জন বিধায়কের মধ্যে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে। গুরুতর অপরাধ সংক্রান্ত মামলা আছে ৩৯ জনের বিরুদ্ধে। অবশ্য সংখ্যাগতভাবে অনেক বেশি হওয়ার কারণে সংখ্যার নিরিখে ফৌজদারি মামলা থাকা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা অধিক। তবে শতাংশের বিচারে অনেক এগিয়ে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের ২১৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৯১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে (৪৩ শতাংশ)। এর মধ্যে ৭৩ জনের বিরুদ্ধে (৩৪ শতাংশ) গুরুতর অপরাধ সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্য বিধানসভায় নির্বাচিত ১৪২ জন তাঁদের হলফনামায় জানিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। মোট বিধায়কদের ৪৯ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। একজন নির্দল বিধায়কের বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা আছে। অভিযুক্ত বিধায়কদের সংখ্যা গতবারের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ী বিধায়কদের মধ্যে ১০৭ জন অর্থাৎ ৩৭ শতাংশ ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। ২০২১ এবং ২০১৬ এর নির্বাচনে গুরুতর ফৌজদারি মামলা থাকা বিধায়কদের সংখ্যা যথাক্রমে ১১৩ ও ৯৩।
ইলেকশন ওয়াচের রিপোর্ট আরও বলছে, এবারে নির্বাচিত ১০ জন বিধায়ক প্রার্থী হওয়ার সময় মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইপিসি-র ৩০২ নম্বর ধারায় খুনের মামলা আছে। ৩০ জন জানিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টার মামলা আদালতে বিচারাধীন। ২০ জন হলফনামায় তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করা সংক্রান্ত মামলা থাকার কথা জানিয়েছেন। এই ২০ জনের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে তো আইপিসি-র ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের মামলা পর্যন্ত চলছে। খুন, খুনের চেষ্টা, ধর্ষণের মামলা থাকা বিধায়কদের নামের তালিকা ইলেকশন ওয়াচ তার রিপোর্টে সরাসরি প্রকাশ করেনি।