প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ! আইপ্যাক জানাল আসল তথ্য
বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে নয়া জল্পনা ছড়িয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে। তা হল, পিকে তৃণমূলে যোগ দেবেন। তার পর তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার (rajya sabha) সাংসদ হতে পারেন। পরবর্তী লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তুলে ধরতে অনুঘটকের ভূমিকা নেবেন তিনি।
কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে আইপ্যাকের তরফে জানাল হল, প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor) তৃণমূল রাজ্যসভার সদস্য করার প্রস্তাব দিয়েছে বলে যে খবর একাংশ সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়েছে তা সত্য নয়। নিতান্তই জল্পনা মাত্র।
বিধানসভা ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হতেই প্রশান্ত কিশোর সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি এখন যে কাজ করছেন অর্থাৎ আইপ্যাকে (iPack) থেকে রাজনৈতিক দলকে পরামর্শ দেওয়া ও কৌশল নির্ধারণের কাজ—তা এ বার ছেড়ে দেবেন। তিনি অন্য কিছু করবেন।
আবার কদিন আগে এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভোট চলাকালীন প্রশান্ত জানিয়েছিলেন, তিনি রাজনীতিতে ফিরে যাবেন। একবার তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তখন সাফল্য পাননি। তবে তিনি আবার রাজনীতিতে ফিরবেন। তা ছাড়া নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষুদ্র সহযোগীও বলেছিলেন প্রশান্ত।
এই দুয়ে দুয়ে অনেকে চার করেছেন। এমনকি ঘরোয়া আলোচনায় তৃণমূলের অনেকেই সেই ধরনের সম্ভাবনার কথা বলছিলেন। অনেকে এও মনে করছিলেন, চোদ্দ সালের লোকসভা ভোটে সর্বভারতীয় স্তরে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি তৈরির কাজে যে ভাবে বিশ্বকর্মা হয়ে উঠেছিলেন পিকে, এবার তৃণমূলে থেকে মমতা দিদির জন্য তাই করবেন। কারণ, বিহার রাজনীতিতে নতুন জায়গা তৈরি করা প্রশান্তের পক্ষে এখনই সহজ নাও হতে পারে। তুলনায় বাংলায় তাঁর একটা জায়গা তৈরি হয়েছে। তৃণমূলে যোগ দিয়ে সে কাজটা করতে পারেন পিকে।
এই সব সাত সতেরো জল্পনা যখন চলছে তখন বুধবারও দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ অনুষ্ঠানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পিকেও। রাজ্যপালের সঙ্গেও তাঁকে কথা বলতে দেখা যায়। তাতে জল্পনা আরও ঘনীভূত হয়।
তবে তৃণমূলে সামিল হওয়া বা তৃণমূলের হয়ে রাজনৈতিক কাজ তিনি করবেন না এমনটা এদিন জানায়নি আইপ্যাক। শুধু জানিয়েছে, রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার প্রস্তাব সংক্রান্ত যে খবর রটেছে, তা ঠিক নয়।