সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রুখতে নজরদারি ব্যারাকপুরে
বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পর থেকে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন জায়গায় গণ্ডগোল হচ্ছে। ওসব ঘটনায় জেলা পুলিস এখনও পর্যন্ত মোট ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। জেলায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মিথ্যা খবর ছড়ানো হচ্ছে, যার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে বলেও জেলার পুলিস সুপার দেবাশিস ধর বুধবার দাবি করেন। ইতিমধ্যেই পুলিস ওসব মেসেজ যারা পাঠাচ্ছে, তাদের সন্ধান শুরু করেছে। মানুষ যাতে কোনওভাবে বিভ্রান্ত না হয় তারজন্য প্রশাসনের সহায়তা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে পুলিসের তরফে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় রুটমার্চ চলছে। রাজ্য থেকে ফোর্স ও র্যাফ এসেছে। একেকটি থানা এলাকাকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করে ওসব জায়গায় নজরদারির কাজ শুরু করেছে পুলিস। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন ব্লকে বৈঠক করা হচ্ছে। পুলিস দাবি করেছে, গণ্ডগোলের অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে চকোলেট বোমা ছুঁড়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিস সুপার বলেন, ভোটের ফল বের হওয়ার পর দেখা গিয়েছে বেশকিছু ফেক নিউজ, ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছে। যা মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। মানুষ ভয় পেয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসছে। আমরা সেটাকে প্রতিহত করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। টেকনিক্যাল সাপোর্ট নিয়ে সেগুলি চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। অনেক জায়গায় ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার আমরা বিভিন্ন মামলায় ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে। দিনহাটার খুনের ঘটনায় একজন ও চিলাখানার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শীতলকুচির ঘটনায় তল্লাশি চলছে। অনেক ক্ষেত্রে চকোলেট বোমা ছুঁড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে ভাঙচুর, লুটপাট চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের সাদা পোশাকের পুলিস নজরদারি চালাচ্ছে।
কোচবিহার জেলায় নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে বহু এলাকাতেই ঝামেলা হচ্ছে। বাড়ি ভাঙচুর, মারধর, বোমা ছোঁড়ার ঘটনায় ওসব এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। অনেক মানুষ ঘর ছাড়া অবস্থায় রয়েছেন। গত তিনদিনে বিভিন্ন গণ্ডগোলে শীতলকুচি, দিনহাটা ও চিলাখানায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শীতলকুচি, তুফানগঞ্জ, দিনহাটা, মাথাভাঙা, কোচবিহার থানার দক্ষিণ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় পুলিসের রুটমার্চ চলছে।