রোগীদের পুষ্টিগুণে ভরা পথ্য দুয়ারে পৌঁছে দেবে পঞ্চায়েত দপ্তর
করোনা (Covid 19) রোগীর ওষুধ নিয়ে চর্চা সর্বত্রই। কিন্তু পথ্য? বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আর্য়ুবেদিক উপাদান? এসব প্রশ্নের উত্তর ‘থালা’য় করে সাজিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনস্ত সিএডিসি (CADC)। করোনার ব্যাপকতার পর্বে আর্য়ুবেদিক হেলথ ড্রিঙ্ক আর খাবার দিয়ে পসরা সাজিয়েছে দপ্তর। সজনে বীজের গুঁড়ো থেকে হলুদ, আদা থেকে সরকারি উদ্যোগে তৈরি মধু, আবেদন করলেই উপকরণ হাতের নাগালে। পথ্যের ক্ষেত্রে নজর রাখা হয়েছে পুষ্টির দিকে। তাই প্যাকেজে থাকছে কালো আর ব্রাউন রাইস। হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তি বা পরিবারের জন্য দপ্তরের কর্তারা বাড়িতে বাড়িতে সেই পথ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। কলকাতার নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় সুলভ মূল্যে সেই বিশেষ হেলথ ড্রিঙ্ক আর পথ্য মিলবে।
গত বছর পুজোর মরশুমে নানা ধরনের খাবার হোম ডেলিভারি করে সাড়া ফেলে দিয়েছিল সিএডিসি। তারপর শীতকালে বিভিন্ন ধরনের গার্ডেন ফ্রেশ ফল হোম ডেলিভারি করেছিল পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনস্ত এই সংস্থা। এবার করোনা পর্বকে মাথায় রেখে বিশেষ ভাবনায় পথ্যের ‘থালি’ সাজিয়েছে তারা। মূলত প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের সঠিক জোগানের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে খাবারের মেনু। আইসোলেশন পর্বে বাড়ি বসে হাতেগরম খাবার পাওয়া আমজনতার কাছে বরদানের মতোই। তাও সেসব যদি পুষ্টিগুণ মাথায় রেখে কম মশলা দিয়ে বাগানের সব্জি বা খামারে তৈরি মাছ-মাংস দিয়ে হয়, তো সোনায় সোহাগা। পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব তথা সিএডিসি’র কর্তা সৌম্যজিৎ দাস বলেন, একদিকে বাড়িতে রান্নার ঝামেলা নেই, অন্যদিকে পুষ্টিবিদদের মতামত নিয়ে সেই অনুসারে আমরা রান্না করছি। ডেলিভারি চার্জ সহ খাবারের দাম ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। সংস্থার বিপণন কর্ত্রী স্বাগতা রায় বলেন, ৬২৯০২২৫৮৫৯ এবং ৮১৭০৮৮৭৭৯৪— এই দু’টি নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করে অর্ডার দিলেই খাবার ও ইমিউন বুস্টার পৌঁছে দেওয়া হবে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কালোজিরে, মধু, আদা সহ একাধিক বীজ বা কন্দের গুঁড়ো আলাদা করে হেলথ ড্রিঙ্কসের প্যাকেজ করা হয়েছে। গ্রাহক দুধ বা অন্য কিছুর সঙ্গে ওগুলি ব্যবহার করতে পারবেন। সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার। পথ্যের তালিকায় থাকছে বিশেষ পুষ্টিগুণযুক্ত কালো ও খয়েরি চালের ভাত। মোচা, কাঁচকলা, পনির, ডুমুর, মাশরুমের মতো উপকারি সব্জির সঙ্গে মাছ ও মাংস থাকছে। ফলে, করোনাকালে এবার পথ্য নিয়ে রোগীর দুয়ারে রাজ্য সরকার।