করোনা সচেতনতায় নরম-গরম প্রচার কলকাতা পুলিশের
কোথাও ধমক, আবার কোথাও বাবা-বাছা। যে রোগীর যা ওষুধ। কাউকে কড়া বকুনিতে মাস্ক দিয়ে নাক-মুখ ঢাকতে বলছেন। আবার বয়স্ক অসচেতন মানুষ দেখলে তাঁদের নরম সুরে বুঝিয়ে মাস্ক তুলে দিচ্ছেন হাতে। আংশিক লকডাউনে এই চরিত্রেই পাওয়া গেল উর্দিধারীদের। সরকারি, বেসরকারি বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ক ফ্রম হোম করলেও কোভিড (Covid 19) পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নেমেই কাজ করতে হচ্ছে পুলিসকে।
সকাল দশটা। লেক মার্কেট চত্ত্বরে বাইকে চেপে প্রবেশ করলেন দুই পুলিসকর্মী। প্রাথমিকভাবে বাজার বন্ধ করার নির্দেশ দিলেন প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে। এরপরে বাইক রেখে পায়ে হেঁটে বাজার ঘুরলেন তাঁরা। যে সমস্ত ব্যবসায়ীর মাস্ক নেই, তাঁদের সতর্ক করলেন। বেহালার ঘোলশাপুর বাজারেও পুলিস সচেতনতার প্রচার করেছে। সেখানে বাজারের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বেহালা থানার এক কনস্টেবল। হাতে থার্মাল গান। ক্রেতাদের ভিতরে প্রবেশের আগে দেহের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। স্বাভাবিকের নীচে থাকলে তবেই প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন কর্তব্যরত উর্দিধারীরা। বাজারের গেট অর্ধেক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যাতে পুলিসের নজর এড়িয়ে কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে না পারেন। গড়িয়াহাট বাজারে এদিন সকাল থেকেই সচেতনতা প্রচারের ব্যবস্থা করা হয় থানার তরফে। মাইকিং করে বলা হয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা। মাস্ক পরার বিষয়টিও প্রচার করা হয়। প্রচারের সময় এক সব্জিওয়ালাকে মাস্কবিহীন অবস্থায় বসে থাকতে দেখেন পুলিসকর্মীরা। বিক্রেতা বলেন, বাড়ি থেকে পরে এলেও বাজারের মধ্যে সেটি মাটিতে পড়ে যায়। তা শোনার পরই থানার তরফে একটি সার্জিক্যাল মাস্ক তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। তবে কেউ মাস্ক না পরলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করেন শহরের উর্দিধারীরা। লালবাজার সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদিন দুপুর পর্যন্ত শহরে মাস্ক না পরার জন্য মোট ২১৪ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।