কাজের কথা বলেন না, মোদিকে কটাক্ষ হেমন্তর
রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ৩ কোটির বেশি। অথচ রেমডেসিভির এসে পৌঁছেছে মাত্র ২ হাজার ১৮১ শিশি। তাতে সংক্রমণ (Coronavirus) ঠেকানোর কোনও উপায়ই দেখছে না ঝাড়খণ্ড সরকার। তা নিয়ে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে শ্লেষ ছুড়ে দিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তিনি জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির খোঁজ নিতে ফোন করলেও, মোদি শুধু একতরফা নিজের কথাই বলে গিয়েছেন। তাঁর কোনও কথাই শোনেননি।
এত দিন অতিমারির কালো ছায়া মূলত শহর এবং শহরতলিতে আটকে থাকলেও, এ বার গ্রামগঞ্জেও তা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। ঝাড়খণ্ডে মোট সংক্রমণ ৩ কোটি ছুঁইছুঁই। এই মুহূর্তে দৈনিক ৭-৮ হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন সেখানে। দৈনিক মৃত্যুও ১০০-১৫০। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে টুইটারে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত। তিনি লেখেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। শুধু নিজের মনের কথাই বলে গেলেন। ভাল হত যদি কাজের কথা বলতেন এবং কাজের কথা শুনতেনও’।
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন হেমন্ত। তিনি জানান, সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার শিশি রেমডেসিভির কিনতে চেয়েছিল তাঁর সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার অনুমতি দেয়নি মোদি সরকার। তাঁর অভিযোগ, ঢাকঢোল পিটিয়ে ১৮ ঊর্ধ্ব সকলের টিকাকরণের ঘোষণা করে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু টিকা না থাকলে টিকাকরণ হবে কী করে?
অতিমারি সামাল দিতে কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী কিছুই মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব অরুণ সিংহও। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত মাত্র ২ হাজার ১৮১ শিশি রেমডেসিভির দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে নানা অভিযোগ সামনে এসেছে। ঝাড়খণ্ড থেকে তেমন কোনও অভিযোগ না এলেও, অন্য জায়গায় সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তাদের দাবি, দৈনিক ৬৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপন্ন হয় রাজ্যে। সেখানে দৈনিক চাহিদা মাত্র ৮০ মেট্রিক টন। কিন্তু অক্সিজেন বাষ্পীভূত করে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পাত্র, সিলিন্ডারের জোগান নেই। এ ব্যাপারে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন হেমন্ত (Hemant Soren)।