বাংলার কৃষকদের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার ব্যাপারে যাবতীয় জটিলতার অবসান ঘটেছে
তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে চাপ বাড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কৃষকদের সুবিধার্থে পিএম-কিষাণ (PM-Kisan Nidhi) প্রকল্পের সুবিধা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে কিছুটা হলেও চাপ বাড়ে কেন্দ্রের উপর। সম্ভবত সেই চাপের মুখেই বাংলার কৃষকদের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (PM-Kisan Nidhi) যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা দ্রুত রিলিজ করতে চাইছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রের খবর, বাংলার কৃষকদের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার ব্যাপারে যাবতীয় জটিলতার অবসান ঘটেছে। সব ঠিক থাকলে, আগামী ১৪ মে’র মধ্যেই বাংলার প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে এমনই দাবি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রকের এক সূত্র ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। গত ৪ মে রাজ্যের তরফে চিঠি লিখে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর ব্যপারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তারপর খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তিনি জানান, রাজ্য নাম পাঠানো সত্ত্বেও এখনও বহু কৃষক কেন্দ্রীয় প্রকল্পটির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ নিয়ে আগে একাধিকবার কৃষি মন্ত্রকে আবেদন জানানো হলেও, কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে স্পষ্টভাবে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, এবার যেন বাংলার কৃষকদের সেই প্রাপ্য টাকা দেওয়া হয়। কৃষি মন্ত্রক সূত্রের খবর, আগামী ১৪ মে বাংলার কৃষকরা চলতি বছরের প্রথম কিস্তির ২ হাজার টাকা পেতে চলেছেন।
এই মুহূর্তে বাংলার ৭ লক্ষ ৫৫ হাজার কৃষক এই প্রকল্পের আওতায় আছেন। তাঁরা সকলেই প্রথম কিস্তির টাকা পাবেন। যদিও, বৃহস্পতিবার লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, পিএম কিষাণ নিধি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যের তরফে ২১.৭৯ লক্ষ কৃষকের নাম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের পোর্টালে মাত্র ৯.৮৪ লক্ষ মানুষের নাম নথিভূক্ত হয়েছে। যা সূত্রের খবর তাতে কেন্দ্রের এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীর সংখ্যাটা আরও কম।