বিজেপি নেতা কর্মীরা দলীয় নেতাদের আচরণে অসন্তুষ্ট
নির্বাচনের ফল ঘোষণার একাধিক এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে চললেও রাজ্য কমিটির কোনও নেতাদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এবিষয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সম্ভবত ভয়ের জেরে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর সাহস দেখাতে পারেননি দলীয় নেতারা। ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্প্রতি রাজ্য সফর সারেন সর্বভারতীয় সভাপতি। অন্য়দিকে শুক্রবার বিধানসভায় বিশেষ বৈঠকের ডাক দেন দলের রাজ্য সভাপতি।
রাজ্য সভাপতির তরফে ডাকা এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিধায়ক ছাড়াও দলের সাংসদদের। যদিও রাজ্য সভাপতির ডাকা সেই বৌঠকে অনুপস্থিত থাকেন অনেকেই। অনুপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়ও। বিশেষ সূত্রে খবর এদিন বিধানসভা ভবনে শপথ নেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় মুখ্য সচেতকের ঘরে সময় কাটাত দেখা গেলেও রাজ্য সবাপতির ডাকা বৈঠকে যোগ দেননি তিনি। ঘটনায় দলের অভ্যন্তরে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। দুর্দিনে দলের নেতাদের এহেন কর্মকাণ্ডে খানিকটা দুশ্চিন্তায় কর্মী-সমর্থকরা।
এদিন বৈঠক শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দলের নেতা এবং নবনির্বাচিত বিধায়কদের অবিলম্বে আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় পৌঁছে পামলার ঘটনা সরজমিনে সমস্ত খতিয়ে দেখে নেতা-কর্মীদের ক্ষতির মূল্যায়ন শেষে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
অপরদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গঠিত চার সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজ্যের একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন। তার আগে রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সারেন পর্তিনিধি দলের সদস্যরা। আগামীতে আরও বেশকিছু এলাকা পরিদর্শন করবেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। যদিও এদিন বিকেলেই ওই প্রতিনিধি দলের তরফে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। পরিদর্শন শেষে দিল্লি ফিরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করবেন বলেই খবর। দিল্লি তে ফিরে গিয়ে তারা তাদের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পেশ করবেন।