আদি নব্য দ্বন্দ্ব চরম বিজেপিতে, মনোজের মানভঞ্জন মুখ্য সচেতক বানিয়ে
দড়ি টানাটানি হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। কারণ শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা করা হয়েছে। আর তাতে যোগ্যতম হয়েও পিছিয়ে থাকতে হয়েছে মনোজ টিগ্গাকে। তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়ে আগেও জিতেছেন। আবার এই একুশের নির্বাচনে বিজেপির ব্যাপক ধসে পড়ার মধ্যেও নিজের আসনটি ধরে রেখেছেন মনোজ টিগ্গা। এমনকী পরিষদীয় নেতা হিসাবে বিধানসভায় দায়িত্ব সামলেছেন। তাহলে কেন তাঁকে বিরোধী দলনেতা করা হল না? দলের অন্দরেই উঠেছে প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, এখানেও আদি–নব্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে শীর্ষ নেতাদের সামনে। বহু জয়ী বিধায়কই চেয়েছিলেন মনোজ টিগ্গাকে বিরোধী দলনেতা করা হোক। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও শুভেন্দুর উপরই আস্থা রাখে। আর তখনই শুরু হয়ে যায় ঝামেলা। তখন মধ্যপন্থা অবলম্বন করে মনোজের মন রাখতে তাঁকে বিজেপির মুখ্যসচেতক বা চিফ হুইপ ঘোষণা করা হয়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ডেপুটি স্পিকার করা হচ্ছে প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চিফ হুইপ হচ্ছেন নির্মল ঘোষ, ডেপুটি চিফ হুইপ তাপস রায়। সূত্রের খবর, মনোজ টিগ্গাকে বিরোধী দলনেতা না করায় তিনি দল ছেড়ে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁকে তখন দলের পক্ষ থেকে চিফ হুইপ করার কথা ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে আটকে দেওয়া হয়। বিজেপি এখন খুব চিন্তায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস যদি বিধায়ক ভাঙাতে শুরু করে তা নিয়ে। বিধায়ক ভাঙতে শুরু করলে দলের সংগঠন তলানিতে গিয়ে পৌঁছবে। তাই সবাইকে খুশি রাখতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।