যোগী রাজ্যে ফের অমানবিকতা! ময়লা ফেলার গাড়িতে বাঙালি বৃদ্ধার মৃতদেহ
চূড়ান্ত অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। মৃত্যুর পরও ন্যূনতম সম্মান পেলেন না বৃদ্ধা। আতঙ্কে ফিরেও চাইলেন না প্রতিবেশীরা। মৃতদেহ শ্মশানে বয়ে আনা হল পুরসভার জঞ্জাল ফেলার গাড়িতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। ঘটনাটি রবিবারের। মৃত বালামতির (৬৫) ভাই প্রভাস সরকার জানান, পশ্চিমবঙ্গে থাকতেন তাঁর দিদি। মাস খানেক আগে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই তিনি অসুস্থ হয়েছেন। সেখানে তাঁকে দেখার কেউ ছিল না। সেই কারণে ভাই তাঁকে উত্তরপ্রদেশের শ্যামলী জেলার জালালাবাদ শহরে নিয়ে আসেন। কিন্তু সুস্থতার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। তাঁর অসুস্থতার খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পড়শিরা। ভেবে বসেন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বালামতি। শেষপর্যন্ত শনিবার মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। কিন্তু তাঁর শেষকৃত্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি। দেহ কীভাবে শ্মশানে নিয়ে যাবেন, ভেবে পাচ্ছিলেন না ভাই। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর নিরুপায় হয়ে প্রভাসবাবু স্থানীয় পুরসভায় খবর দেন। পুরসভা থেকে দেহ আনার জন্য একটি ময়লা বহনের গাড়ি পাঠানো হয়। সেই গাড়িতে চাপিয়ে দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী গাড়ি সহ দেহটির ছবি তুলে রাখেন। তিনি তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।
যদিও ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্থানীয় বাজারে হোমিওপ্যাথি ক্লিনিক রয়েছে প্রভাস সরকারের। তিনি জানান, ‘অভিযোগ জানিয়ে কী করব? এ ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।’ যদিও জেলাশাসক যশজিৎ কাউর বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।