দেশ বিভাগে ফিরে যান

বাংলায় ভরাডুবি, কোভিড দোসর – ইউপি, গুজরাটের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগে বিজেপি

May 11, 2021 | 2 min read

কোভিডের দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে নাজেহাল কেন্দ্রীয় সরকার। আন্তর্জাতিক স্তর থেকে দেশের ভিতরে, সবক্ষেত্রেই এক সুর। আর তা হল, কোভিড পরিস্থিতি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী! তাঁর অদূরদর্শিতার জেরেই নাকি দেশে ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনা সংক্রমণ! আর ঠিক এই সময়ে একের পর এক নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ছে গেরুয়া শিবির। সবমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা কিছুটা ফিকে হয়েছে। দলের উপরও কি বিশ্বাস হারিয়েছে মানুষ? চাপে বিজেপি।

সূত্রের খবর, কোভিড (Covid19) পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএসের একাংশ। সাত বছর ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে নরেন্দ্র মোদি। অব্যাহত ছিল মোদি ম্যাজিক। সেই অঙ্কে ভর করে ভোট বৈতরণী পেরিয়েছে বিজেপি। এই সময়কালে জনমানসে দলের ভাবমূর্তি কিংবা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে চুপচাপই ছিল সংঘ পরিবার। কিন্তু এবার বাংলার বিধানসভা, উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংঘ পরিবারের একাংশ। দলীয় সূত্রে খবর, এই ফলাফল এবং করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের উপর রীতিমতো চটেছেন তাঁরা।

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে কার্যত ব্যর্থ কেন্দ্র। অক্সিজেন, টিকা, প্রয়োজনীয় ওষুধের জন্য হাহাকার দেশজুড়ে। গত এক বছরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে কেন্দ্র ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই চার রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা ভোট হয়েছে। আশা জাগিয়েও বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এমনকী, উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটেও যোগী বিরোধী হাওয়া স্পষ্ট। আর এই সবের জন্য মোদি সরকারের ‘ভ্রান্ত’ নীতিকে কাঠগড়ায় তুলছেন দলেরই একাংশ। তাঁদের কথায়, যখন দেশে দ্বিতীয়বার ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনা সংক্রমণ, তখন বাংলায় ভোট প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বড় বড় সভা-ব়্যালি করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যা দেশের মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, মানুষ প্রিয়জনকে হারানোর কষ্ট বহুদিন পর্যন্ত ভোলে না। আর ঠিক এই ফ্যাক্টর নিয়ে চিন্তিত আরএসএস (RSS)।

দেশজুড়ে কার্যত মৃত্যুমিছিল চলছে। বহু মানুষ তাঁদের পরিবার হারাচ্ছেন। ক্রমশ ফিকে হচ্ছে ‘মোদি ম্যাজিক’। পরবর্তী লোকসভা ভোট তিন বছর বাদে। তার মধ্যে কোন আলাদিনের প্রদীপ দিয়ে পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে আনবে বিজেপি? প্রশ্ন তুলছে দলীয় নেতৃত্বই। এদিকে বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পঞ্চায়েত ভোটে খোদ মোদির লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী এবং অযোধ্যায় বেকায়দায় বিজেপি। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা যোগী সরকারের। প্রিয়জনদের হারিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে আমজনতা। ভোটবাক্সে সেই ক্ষোভ প্রতিফলন হলে ভেঙে পড়তে পারে যোগীগড়। আর রাজনীতিবিদরা বলেন, দিল্লির মসনদের রাস্তা যায় উত্তরপ্রদেশ হয়ে। তাই এত কম সময়ে কোন ম্যাজিকে বিজেপি এই পরিস্থিতি সামাল দেবে, তা ভেবে উদ্বিগ্ন আরএসএস-ও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid19, #bjp, #RSS

আরো দেখুন