বিশ্বভারতীকে বিজেপির পার্টি অফিস বানাতে চাইছেন উপাচার্য? বিক্ষোভ সোশ্যাল মিডিয়ায়
কয়েক মাস ধরেই প্রশ্নের মুখে পড়ছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty) ৷ ক্যাম্পাসে বিজেপি (BJP) নেতাদের উপস্থিতি থেকে শুরু করে প্রতীচীর জমি বিতর্ক, নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি, স্পষ্ট হয়েছে বিজেপির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ।
এবার সেই অভিযোগে ধূপধুনো দিতেই যেন উঠেপড়ে লেগেছেন উপাচার্য। আগামী ১৮ই মে বিশ্বভারতী লেকচার সিরিজের ৩৫তম লেকচারহবে ভার্চুয়াল। কোনও রকম রাখঢাক না রেখেই এই লেকচারের বিষয় ঠিক করা হয়েছে: কেন বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ২০২১শের বিধানসভা নির্বাচন জিততে পারল না। এই বিষয়ে বলার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছে প্রফেসর সঞ্জয় কুমারকে, যিনি বর্তমানে নীতি আয়োগের যুগ্ম উপদেষ্টা।
অনেকেই বলেছেন, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva-Bharati University) হওয়া রাজনৈতিক সন্ত্রাসের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী। বিজেপি আনুগত্যের জন্যই তার পদপ্রাপ্তি ও যেকোন প্রকারে তিনি সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছেন ও তার জোরে বিজেপি-আরএসএস-কে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠা দিতে চাইছেন।
সম্প্রতি বিশ্বভারতীর জমি বিতর্কে খোদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সংঘাতে গিয়েছেন এবং সেটা একেবারেই ভালো ভাবে নেননি বাংলার মানুষ, বিশেষ করে বাঙালি মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীরা। অমর্ত্য সেন বরাবরই মোদিবিরোধী, তাই দুইয়ে দুইয়ে চার করতে অসুবিধা হয়নি মানুষের।
এছাড়াও, সম্প্রতি বিশ্বভারতীর একটি অনুষ্ঠানে উপাচার্যের উপস্থিতিতেই প্রথা মাফিক আশ্রমসঙ্গীত গাওয়া হয়নি, তাই নিয়ে বা পৌষ মেলা নিয়ে নানারকম বিতর্ক এসেছে। বিশ্বভারতীতে পাঁচিল তোলার বিষয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একগুঁয়ে মনোভাবও ভালো ভাবে নেওয়া হয়নি।