বিহার থেকে মালদায় ভেসে আসতে পারে কোভিড রোগীর মৃতদেহ, সৎকারের ব্যবস্থা করবে প্রশাসন
সোমবারের ঘটনা। বিহারে গঙ্গার ঘাটে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় শতাধিক কোভিড রোগীর পচাগলা মৃতদেহ। করোনা পরিস্থিতিতে দেহগুলি সৎকার করতে না পেরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনই অনুমান করে পুলিস।
এবার সেই আতঙ্ক তাড়া করছে বাংলাকে। বিহার থেকে গঙ্গা দিয়ে যে মৃতদেহগুলি ভেসে আসছে, তা মালদায় প্রবেশ করতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাজ্য। যে কারণে ভয়াবহ কিছুর আগেই জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
জেলার মানিকচক ঘাট ঝাড়খণ্ড-লাগোয়া। একপাড়ে মালদা। অন্যপাড়ে রাজমহল। প্রতিদিন লঞ্চে কয়েকশো মানুষ নদীপথে বিহার-ঝাড়খণ্ডে যান। এ ছাড়া ভারী যানবাহনও পারাপার করে। সূত্রের খবর, নবান্নের নির্দেশ মেনে মানিকচক ঘাটে কাল থেকেই দশ-বারোটি নৌকা প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। চালানো হবে নজরদারি। যাতে কোনওভাবে দেহগুলি ভাসতে ভাসতে এদিকে আসতে না পারে, তার জন্য আগে থেকেই তৎপর থাকবে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিস।
উল্লেখ্য, সোমবার উত্তরপ্রদেশ-লাগোয়া বিহারের বক্সার জেলার চৌসায় গঙ্গার ঘাটে একাধিক মৃতদেহ ভেসে ওঠে। ভয়াবহ দৃশ্য দেখে আতঙ্কে পুলিসে খবর দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, দেহগুলি কোভিড রোগীর। প্রথমে ৪০-৫০টি বডি ভেসে উঠলেও ধীরে ধীরে একশোর বেশি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক কে কে উপাধ্যায় বলেন, ‘৫-৭ দিন ধরে জলে ভেসেছিল। তাই দেহগুলি ফুলে গেছে।’ তড়িঘড়ি সেগুলো সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হলেও উদ্বেগ মেটেনি। উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহার হয়ে এবার যাতে তা বাংলায় চলে না আসে, তার জন্য কড়া নজরদারি চালাতে চাইছে নবান্ন।