মমতার লড়াইয়ের ফল, পিএম কিষাণের টাকা অবশেষে পাচ্ছেন কৃষকরা
প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনায় প্রাপ্য টাকা দেওয়ার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। এবার কৃষকদের চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস,”আপনারা চিন্তা করবেন না। আপনাদের প্রাপ্য বকেয়ার জন্য আমরা লড়াই করব।”
পিএম কিষানের তুলনায় রাজ্যের প্রকল্পে বেশি সুবিধা মেলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি লিখেছেন,”দীর্ঘ টালবাহানা ও নানা অজুহাত দেখিয়ে দিল্লির সরকার প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে টাকা দিচ্ছিল না। আপনারা জানেন, এ রাজ্যের সব কৃষকদের জন্য আমরা ২০১৮ সালে সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের টাকায় কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করেছি। যা দেশের মডেল। এরপরই ২০১৯ সালে চালু হয়েছিল পিএম কিষান প্রকল্প (PM Kisan Samman Nidhi)। তুল্যমূল্য বিচারে আমাদের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। এতে ভাগচাষি ও বর্গাদাররা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। ভবিষ্যতে এর সুযোগ সুবিধা আরও বাড়ানো হচ্ছে।”
রাজ্যে পিএম কিষান যোজনা লাগু করতে দেয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কৃষকদের নামের তালিকা যাচাই করে পাঠানো হয়নি। ভোটের প্রচারে এসে শাসক দলকে নিশানা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহরা। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে বকেয়া মিলিয়ে ১৮ হাজার টাকা দেওয়া হবে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে। বিজেপির অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন মমতা। তাঁর দাবি, পিএম কিষান যোজনার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) লিখেছেন,”রাজ্যের প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও যাঁরা পিএম কিষান প্রকল্পে নথিভুক্ত হয়েছিলেন, আমরা তাঁদের টাকা দেওয়ার জন্য দিল্লির কাছে দাবি জানিয়েছিলাম। এর জন্য রাজ্য সরকারের তরফেও প্রয়োজনীয় যা কাজ তাও আমরা যথা সময়েই করেছিলাম।”
রাজ্য সরকার সরব না হলে পিএম কিষান যোজনার টাকা মিলত না বলেও চিঠিতে দাবি করেছেন মমতা (Mamata Banerjee)। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ”আপনাদের প্রাপ্য ছিল ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু পাচ্ছেন অনেক কম। এইটুকুও আপনারা পেতেন না যদি না আমরা আপনাদের হয়ে লড়াই করতাম। আপনারা চিন্তা করবেন না। আপনাদের প্রাপ্য বকেয়া আদায়ের জন্য আমরা লড়াই করবেন। ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।”
রাজ্যে কৃষকদের ১৮ হাজার টাকা দেওয়ার দাবিতে ইতিমধ্যেই মোদীকে চিঠি দিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন,”প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ভোটের পর অফিসাররা তৈরি থাকুন। ১৮ হাজার টাকা করে কৃষকদের দেওয়া হবে। আমি চিঠি দিয়েছি। পোর্টালে তুলে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের নাম। আশা করব। টাকাটা তাড়াতাড়ি দেওয়া হবে। পিএম কিসান যোজনায় ১৪.৯১ লক্ষ কৃষকদের নাম খতিয়ে দেখে তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছি।”