মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে খোলা হচ্ছে ১০০ বেডের করোনা ওয়ার্ড
জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে আপাতত ১০০ শয্যার করোনা ওয়ার্ড তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হল। পরে আরও শয্যা বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, বিধান ব্লকের দোতলায় শিশু ওয়ার্ডকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ রোগীকে নতুন জায়গায় নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছে। আইসিইউ সরাতে একটু সময় লাগছে। এই ওয়ার্ডকে করোনা ওয়ার্ড করা হচ্ছে। এখানে ১০০ শয্যা হবে। খুব দ্রুত এই ওয়ার্ড চালু করে দেওয়া হবে।
বিধান ব্লকের একতলায় দুটি ঘর সংস্কারের কাজ চলছে। সেখানেও করোনা ওয়ার্ড হবে। পরে প্রয়োজনে তিনতলার অর্থোপেডিক ওয়ার্ডকেও নতুন ভবনে সরিয়ে দিয়ে করোনা ওয়ার্ড করার ভাবনা রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৬ শয্যার করোনা ওয়ার্ড আছে। সেখানে অতি সঙ্কটজনক রোগীদের রেখে চিকিৎসা করা হয়। এছাড়াও শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ২০০ শয্যা, আয়ুষ হাসপাতালে ১০০ শয্যা, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৮০ শয্যা, খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ৫০ শয্যা ও ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৪০ শয্যার করোনা ওয়ার্ড ও সেফহোম আছে।
ডেপুটি সিএমওএইচ সৌম্য ষড়ঙ্গি বলেন, এই সব হাসপাতালে বর্তমানে ৩৩৩ জন রোগী ভর্তি আছেন। ৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন। এখনও প্রায় ১৫০ শয্যা খালি আছে। ২৪ ঘণ্টায় মেদিনীপুর, খড়্গপুর, ঘাটাল ও আয়ুষ হাসপাতালে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, আরও হাসপাতাল প্রয়োজন। বিশেষ করে দাঁতন ও নারায়ণগড়ের দিকে রোগী ভর্তির ব্যবস্থা করা দরকার। তা নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ৫৯৫ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খড়্গপুর শহর ও গ্রামীণ এলাকায় ১৯০জন, মেদিনীপুর শহর ও গ্রামীণ এলাকায় ১৩৭জন, গড়বেতায় ৪২, ডেবরায় ৩৮, চন্দ্রকোণায় ৩৭, ঘাটালে ২৭, নারায়ণগড়ে ২৫, দাঁতনে ১৯, পিংলায় ১৩, দাসপুর, কেশিয়াড়ি ও শালবনীতে ১১ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও জেলার আরও কয়েকটি এলাকাতেও বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন।