তৃণমূলের তৃতীয় মন্ত্রিসভায় ৪৪ জনের মধ্যে ৩৩ জন স্নাতক-স্নাতকোত্তর, আছেন তিন ডাক্তারও
রাজ্য মন্ত্রিসভায় মুখ্যমন্ত্রী সহ ৪৪ জন মন্ত্রীর মধ্যে ৩৩ জন স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। ভোটে প্রার্থী হওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনের কাছে দাখিল করা হলফনামার ভিত্তিতে ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচের তৈরি রিপোর্টে এই তথ্য জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) সহ ৯ জনের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আছে। দু’জন মন্ত্রী অর্থাৎ শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও কারিগরি শিক্ষাদপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) ডক্টরেট ডিগ্রি আছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (DrAmit Mitra) ডক্টরেট হলেও তিনি প্রার্থী না হওয়ায় বিষয়টি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি।
এই মন্ত্রিসভায় মেডিক্যালে স্নাতক ডিগ্রিধারী তিন মন্ত্রী হলেন-জলসম্পদমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা, নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং পরিবেশ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী রত্না দে নাগ। আইনে স্নাতক ডিগ্রি আছে মুখ্যমন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর। আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ছাড়াও সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কৃষি বিপণন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা ও নতুন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জমান আইনের স্নাতক ডিগ্রিধারী। খাদ্যদপ্তরের নতুন প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিপ্লোমাধারী। রাজ্যের ১০ জন মন্ত্রী আছেন, যাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাশ। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ করেছেন, এমন দু’জন প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন এই সরকারে।
হলফনামার ভিত্তিতে তৈরি এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এবারে প্রার্থী হওয়া ৪৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে ৩২ জনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ কোটি টাকার বেশি। সবথেকে বেশি সম্পদ আছে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খানের (৩২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা)। সব থেকে কম সম্পদ বন দপ্তরের নতুন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার (৩.০৬ লক্ষ টাকা)। রিপোর্ট অনুযায়ী মোট ১২ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।