তৃণমূলে যোগ দিতে কলকাতা হাজির উত্তরবঙ্গ ও নদীয়ার ৬ বিজেপি বিধায়ক? জোর জল্পনা
কাজে এল না মুরলীধর লেনের অফিসে সেই দল না বদলানোর জন্য শপথ নেওয়ানো। আশঙ্কা ছিল আগে থেকেই। রাজ্য নেতৃত্বকে বারে বারে অনুরোধ করা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গ বিজেপি নেতা এবং বিধায়কদের গুরুত্ব দেয়নি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বাধীন বিজেপি রাজ্য কমিটি। তাই এবারে পরও ভাঙ্গনের মুখে পড়ল বাংলার বিজেপি সংগঠন।
প্রথমে মাত্র কয়েক মাস আগে বিজেপিতে নাম লেখানো শুভেন্দু অধিকারী কে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে আদি বিজেপি সংগঠনকে নেতৃত্ব দেওয়া মনোজ বিরোধী দল নেতার পদ থেকে বঞ্চিত করা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছিল উত্তরবঙ্গে বিজেপির সাংগঠনিক নেতাদের মধ্যে। বাংলা জুড়ে সাধারণ মানুষ এবারের নির্বাচনে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করলেও কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবেই উত্তরবঙ্গে তুলনামূলকভাবে ভালো ফল করেছে বিজেপি। তার পরেও রাজ্য কমিটিতে উত্তরবঙ্গের নেতাদের গুরুত্ব না দেওয়ার পাশাপাশি বিরোধী দল নেতার পদ সদ্য তৃণমূল থেকে আসা শুভেন্দুর হাতে দেওয়াতে বীতশ্রদ্ধ উত্তর বঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব।
তাই নিজেদের ক্ষোভ বারবার বিজেপি রাজ্য কমিটিকে জানানোর পরেও তাতে কোন কাজ না হওয়ায় এবারে সরাসরি কলকাতায় এসে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটের জয়লাভ করা ৬ বিজেপি বিধায়ক।
দক্ষিণ কলকাতার একটি হোটেলে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর পরামর্শে আপাতত রয়েছেন উত্তরবঙ্গ থেকে আসা ৪ বিজেপি বিধায়ক। এদের সঙ্গেই তৃণমূলের নাম লিখানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে উপস্থিত হয়েছেন নদীয়া থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত হওয়া ২ বিজেপি বিধায়ক।
তবে রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনিতেই নিশীথ প্রামানিক এবং জগন্নাথ সরকার বিধায়ক হিসেবে পদত্যাগ করার পরে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা যেখানে মাত্র ৭৫ নেমে দাঁড়িয়েছে, সেখানে উত্তরবঙ্গ এবং নদিয়ায় ভাঙন শুরু হলে তা আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাংলায় বিজেপির সংগঠন পুরো শেষ করে দেবে বলে আতঙ্কিত বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। তাই শেষ চেষ্টা করা হচ্ছে বিজেপি রাজ্য কমিটিকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিদের বাড়তি দায়িত্ব এবং গুরুত্ব দেওয়া।