হাজার টাকা স্পুটনিকের প্রতি ডোজ, নেই কেন্দ্রের বিনামূল্যের টিকাকরণ কর্মসূচিতে
করোনা রোধে ৯১.৬ শতাংশ কার্যকারিতার দাবি। রাখা যাবে অন্যান্য ভ্যাকসিনের মতোই ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। বিশ্বের ৬৫টি দেশ অনুমোদন দিয়েছে এই ভ্যাকসিনকে। রাজ্যে রাজ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে হাহাকারের মধ্যেই অবশেষে শুক্রবার রাশিয়ার তৈরি ‘স্পুটনিক ভি’র যাত্রা শুরু হল। দেশে এসে ১২ দিন পড়ে থাকার পর। হায়দরাবাদের ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি ভারতে এটি তৈরি করবে। সেই সংস্থার অন্যতম কর্তা দীপক সাপরা নিলেন প্রথম ডোজ। ২১ দিন পরে নিতে হবে দ্বিতীয়টি। প্রাথমিকভাবে ৫ শতাংশ জিএসটি সহ ‘স্পুটনিক ভি’র একটি ডোজের দাম পড়ছে প্রায় হাজার টাকা। সঠিকভাবে বললে ৯৯৫ টাকা ৪০ পয়সা। তবে চাহিদা বাড়লে দাম কমতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও কেন্দ্রের ফ্রি টিকাকরণ কর্মসূচিতে স্পুটনিক-ভি যুক্ত হবে না বলেই স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই মতো আগামী ১৫ দিনের জন্য রাজ্যগুলিকে ১ কোটি ৯২ লক্ষ ডোজ পাঠাচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাই এটা পরিষ্কার, রাশিয়ার টিকা আম আদমি সহজে পাবে না। রাজ্য ও বেসরকারি হাসপাতালকেই কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে ওই টিকা জোগাড় করতে হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এর ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ডোজ ভারতে পাঠাতে তৈরি বলে জানিয়েছে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্ট ফান্ড। এই সংস্থারই ব্যবস্থাপনায় তৈরি ‘স্পুটনিক-ভি লাইট’ নামে করোনার আরও একটি ভ্যাকসিন ভারতে আসতে পারে। যার একটি মাত্র ডোজ নিলেই চলবে।
এদিকে, বেশ কয়েকটি রাজ্য ভ্যাকসিনের গ্লোবাল টেন্ডারের উদ্যোগ নিলেও কেন্দ্রীয় সরকার সক্রিয় হচ্ছে না। আর তা না হলে এই উদ্যোগের বাস্তব রূপদান সম্ভব নয় বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। দেশীয় দুই কোম্পানিকে রাজ্যগুলি ভ্যাকসিনের বরাত দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সমন্বয় থাকছে না। তাই রাহুল গান্ধীর সওয়াল, এভাবে চলতে পারে না। কেন্দ্রই ডোজ কিনুক এবং রাজ্যগুলিকে বিতরণ করুক। সরব হয়েছেন পি চিদম্বরমও। মোদির স্বপ্নের প্রকল্প সেন্ট্রাল ভিস্তার প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ১৮ ঊর্ধ্ব ১০২ কোটি নাগরিককে টিকা দিতে খরচ হয় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ওদিকে সেন্ট্রাল ভিস্তায় খরচ ২৫ হাজার কোটি। একেই কি বলে সব কা সাথ সব কা বিকাশ?