রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সুরার দোকানেও লম্বা লাইন! কালোবাজারির বিরুদ্ধে সরব মদন

May 16, 2021 | 2 min read

মুষড়ে পড়েছেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। নির্বাচনে জয়ের আনন্দের মধ্যেও বিষণ্ণ তিনি। শনিবার মদের দোকানে (Liquor Shop) লাইন দেখেই সেই বিষাদ বলে ইঙ্গিত করেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। ‘মদ’ শব্দটি উচ্চারণ না করেই ফেসবুকে সরব হয়েছেন ‘দিশি’ মদের কালোবাজারি নিয়ে।

শনিবার ছিল অক্ষয় তৃতীয়া। ওই দিনটিতে মানুষকে সাহায্য করা উচিত বলে ফেসবুকে দাবি করেন মদন। তিনি জানান, ওই দিন করোনা চিকিৎসার জন্য সেফ হোম তিনিও তৈরি করেছেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষকে সাহায্য করছেন। যা নিয়ে নেটমাধ্যমে নিজের খুশির কথাও ব্যক্ত করেন তৃণমূল বিধায়ক। অন্য দিকে, করোনা সংক্রমণ রুখতে শনিবার ‘সাময়িক আত্মশাসন’ বা বিধি নির্ভর লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। রবিবার থেকে ১৫ দিনের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিপণী ও জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সব বন্ধ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে শনিবার মদের দোকানে সুরাপ্রেমীদের লম্বা লাইন দেখা যায়। তা নিয়েই ফেসবুকে নিজের দুঃখের কথা প্রকাশ করেন মদন। সেখানে ‘দিশি’ ও ‘বিদেশি’-র কথা উল্লেখ করলেও সরাসরি মদের নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। এমনকি সরব হয়েছেন ‘দিশি’র কালোবাজারি নিয়েও।

শনিবার ফেসবুকে মদন বলেন, ‘‘মানুষের খুব পছন্দের জিনিস। যার জন্য লাইন দিচ্ছে। রাস্তা দিয়ে আসতে আসতে দেখলাম কালোবাজারি হচ্ছে। ব্রিটিশের সময় আমরা বিদেশি বর্জন করেছিলাম। এখন অনেকে বিদেশি বর্জন করে দিশি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একশো টাকার দিশি এক-দেড় হাজার টাকায় কালোবাজারি হচ্ছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এক দিকে লাইন পড়েছে দোকানে। আর আমরা লাইন দিচ্ছি সেফ হোমে।’’ মুখে না বললেও মদনের কথা থেকে পরিষ্কার এই মহামারির সময় তিনি সুরপ্রেমীদের লাইনকে তিরস্কার করছেন। এমনকি নিজের সঙ্গে তুলনা করে এটাকে তিনি মেনে নিতে পারছেন না বলেও জানান। মদন বলেন, ‘‘আমাকে নিজেকে দেখে সন্দেহ হয় যে, আমি কোন দলে পড়ি। এটা ঠিক আমি মেনে নিতে পারছি না। যে লাইন দেখে এলাম, সত্যি ভাবছি মানুষ আর কুকুরের মধ্যে পার্থক্য কী?’’

শনিবার শুধু ‘দিশি’ মদের কালোবাজারি নিয়ে সরব হননি তৃণমূল বিধায়ক। বেসরকারি নার্সিংহোমের কালোবাজারি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘‘নার্সিংহোমগুলো এখন যা ব্যবসা করছে গত একশো বছরেও এত ব্যবসা করেছে বলে আমার জানা নেই। কালোবাজারি হচ্ছে মানুষকে বাঁচানোর অক্সিজেন নিয়েও। রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হচ্ছে। রোগীর পরিজন দেখতে এলে ভেন্টিলেটরে রাখছে, চলে গেলে ওই রোগীকেই জেনারেল বেডে রাখা হচ্ছে। এমনকি রোগীর ব্রেন ডেথের পরেও তা করা হচ্ছে।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Lockdown, #liquor shops, #Madan Mitra

আরো দেখুন