দেশের উদ্বগেজনক করোনা সঙ্কটের জন্য দায়ী কেন্দ্র, মত আরএসএস প্রধানের
করোনা মোকাবিলায় ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্য এবার কেন্দ্রকে দায়ী করলেন সঙ্ঘ প্রধান মোহান ভাগবত। তিনি বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর আমরা গা ছাড়া মনোভাব নিয়েছিলাম। দেশবাসী, সরকার ও প্রশাসন কেউই গুরুত্ব দিইনি। অথচ সবাই জানতাম যে দ্বিতীয় ঢেউ আসছে। চিকিৎসকরাও আমাদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন। কিন্তু, আমরা পাত্তা দিইনি।’ এরপরেই সঙ্ঘচালকের বক্তব্য, এখন ওরা বলছে, তৃতীয় ঢেউও আসতে পারে। তাহলে কি আমাদের ভয় পাওয়া উচিত? নাকি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে বিজয়ী হতে সঠিক মনোভাব বজায় রাখতে হবে?
করোনা সংক্রমণ ও তার জেরে মৃত্যু মিছিলের জেরে দেশবাসী আতঙ্কিত। হতাশায় জর্জরিত। ভয়ে সিঁটকে যাওয়া মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগাতে ও ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে ‘পজিটিভিটি আনলিমিটেড’ নামে ধারাবাহিক বক্তৃতা সভা চালু করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। নাগরিক সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধির সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করছে আরএসএসের ‘কোভিড রেসপন্স টিম’। গত ১১ মে থেকে সঙ্ঘের ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হচ্ছে অনুষ্ঠানটি। শনিবার সেই সভায় অংশগ্রহণ করেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। সেখানে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের এই বাড়বাড়ন্তের জন্য সরকার, দেশবাসী ও প্রশাসনকে এক সারিতে দাঁড় করান তিনি। একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে সরকারের শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন ভাগবত।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে এদিন ভাষণ দেওয়ার সময় প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের টেবিলে থাকা একটা লেখার কথা উল্লেখ করেন ভাগবত। সেটা ছিল, ‘এই অফিসে নৈরাশ্যের কিছু নেই। পরাজয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আমরা আগ্রহী নই। নৈরাশ্য বা পরাজয় বলে কিছুই নেই।’ তারপরেই সঙ্ঘ প্রধান বলেন, ভারতকেও এই মহামারীকে জয় করতে হবে। ভাগবতের কথায়, জীবন-মৃত্যুর এই চক্র চলতেই থাকবে…এতে আমরা ভয় পাই না। এটা হল সেই পরিস্থিতি, যা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রশিক্ষিত করে তোলে। সাফল্য চূড়ান্ত গন্তব্য নয়। আবার ব্যর্থতাতেই সব শেষ নয়। সাহস জারি রাখাটাই আসল কথা।