লকডাউনে ধর্ণার জের, গ্রেফতার বিজেপির তিন বিধায়ক
রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউন (Lock Down) চলছে। আর এই পরিস্থিতিতেও বেপরোয়া হয়ে উঠলেন বিজেপির তিন বিধায়ক। আর তাতেই বাড়ল বিড়ম্বনা। করোনাভাইরাসের (Covid19) চেইন ভাঙতে এই লকডাউন ডাকা হয়েছে। সেখানে তা অমান্য করলেন তিন বিধায়ক। লকডাউনের প্রথমদিনে তাঁরা ধর্ণায় বসে পড়লেন। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্রেফতার করা হল বিজেপির (bjp) তিন বিধায়ককে। আর তার জেরেই লকডানের মধ্যেই রাজ্য– রাজনীতি তোলপাড় হয়ে পড়ে।
ঠিক কী ঘটেছে? রবিবাসরীয় সকালে শিলিগুড়ির হাসমি চকে ধর্ণায় বসেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, শিখা চট্টোপাধ্যায় এবং আনন্দময় বর্মন। লকডাউন আইন ভেঙে তাঁরা রাস্তায় প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকায় পুলিশে খবর যায়। বিধায়কদের বক্তব্য, শিলিগুড়ি পৌরসভায় চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন গৌতম দেব। নির্বাচনে হেরে গিয়ে কীভাবে মনোনীত হচ্ছেন? শিলিগুড়ির জয়ী জনপ্রতিনিধিদের সরকারি কোনও বৈঠকেও ডাকা হচ্ছে না। পুলিশ এইসব শুনতে নারাজ। তাই লকডাউন ভাঙার আইনে তাঁরা এই তিন বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে করোনাভাইরাস রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য–প্রশাসন ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। রোগীরা হাসপাতালে বেড পাচ্ছেন না, ওষুধ নিয়ে চলছে কালোবাজারি, অক্সিজেন সিলিন্ডার মিলছে না বলেও অভিযোগ তাঁদের। এইসবেরই প্রতিবাদে লকডাউনের প্রথম দিনই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান শঙ্কর ঘোষ, শিখা চট্টোপাধ্যায় এবং আনন্দময় বর্মন।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে ধর্ণা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। জনপ্রতিনিধি হয়ে সরকারি নির্দেশ না মানলে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছবে বলেও বোঝানো হয় তাঁদের। কিন্তু নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন তাঁরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকে। তখন তিন বিধায়ককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।