ব্যাঙ্কশাল আদালতে জামিন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
রাত ১০.৩০ এর আপডেট: নিম্ন আদালতের এর জামিনের নির্দেশে বুধবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী বুধবার হাইকোর্টে শুনানি হবে।
সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে শেষ নারদ কাণ্ডের শুনানি। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই শুনানি চলে। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভার্চুয়াল শুনানির আয়োজন করা হয়েছিল। আর এই মামলায় গ্রেপ্তার ৪ নেতার জামিন মঞ্জুর করল আদালত।
সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে শেষ নারদ কাণ্ডের শুনানি। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই শুনানি চলে। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভার্চুয়াল শুনানির আয়োজন করা হয়েছিল। আর এই মামলায় গ্রেপ্তার ৪ নেতার ফিরহাদ হেকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়
আদালতে ধৃতদের পক্ষে সওয়াল করেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদ কাণ্ডে বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি ধৃত ৪ জনের জামিনের আবেদন করেন। যদিও তার বিরোধিতা করে সিবিআই।
সিবিআই পক্ষের আইনজীবী ধৃতদের জেল হেফাজতে রাখার আর্জি জানায়। সিবিআই পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দেখান, ধৃতরা বাইরে বেরিয়ে প্রমাণ নষ্ট করে দিতে পারেন। ধৃতদের আইনজীবীরা পাল্টা যুক্তি দেখান, ফিরহাদ কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসক। সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তাঁকে প্রয়োজন।
অন্য দিকে ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপারেশন নিয়েই প্রশ্ন তোলেন শোভনের আইনজীবী। আদালতে চার্জশিটও জমা দেয় সিবিআই। বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া মন্ত্রী এবং জন প্রতিনিধিদের কী ভাবে গ্রেফতার করা হল, আদালতে সোমবার সেই প্রশ্নও তোলেন কল্যাণ। গ্রেফতারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কল্যাণের মন্তব্য, ‘‘রাজ্যপাল যা করেছেন পিছনের দরজা দিয়ে করেছেন।’’
সোমবার সকালেই নারদ কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে। এই ৩ জনের সঙ্গে তালিকায় ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে অ্যারেস্ট মেমোয় সই করানো হয় তাঁদের সকলকে।
গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চলে যান নিজাম প্যালেসে। সূত্রের খবর, ওই ৪ জনের গ্রেপ্তারকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দেন তিনি। সেই সঙ্গে এ-ও বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তিনিও নিজাম প্যালেস ছাড়বেন না। নিজাম প্যালেসে জড়ো হন বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকও।
দিনের শেষে রাজ্য বনাম সিবিআইয়ের (CBI) মধ্যে সংঘাতের পর শেষ হাসি হাসল তৃণমূল (TMC)৷