রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নারদ কাণ্ডে গ্রেপ্তারি, মত সিপিএমেরও
নারদকাণ্ডে (Narada Scam Case) রাজ্যের দুই মন্ত্রী, বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতারের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াল CPIM। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ বলে CPIM পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদকের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। CPIM পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘করোনা মহামারীতে যখন সারা দেশের মানুষের জীবন, জীবিকা অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের সম্মুখীন, তখনই সরকারের সীমাহীন অপদার্থতা চাপা দিতে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘুরিতে দেওয়ার জন্যই এই সময়টা বেছে নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ CBI-এর এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা দেশের জনগণকে এক ভয়ংকর বিপদের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। BJP-র মনে রাখা উচিত, সদ্য রাজ্যের মানুষ যে তাঁদের সরকার চায় না, স্পষ্টভাবে সেই রায় দিয়েছেন’ এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলা হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রীরও মনে রাখা উচিত যে এই রায় BJP-র বিরুদ্ধে হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের পক্ষে ইতিবাচক রায় নয়। দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করে, দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে নিয়ে BJP-র মতো ভয়ংকর শক্তিকে যে মোকাবিলা করা যায় না, এই শিক্ষা তৃণমূল কংগ্রেসেরও গ্রহণ করা উচিত। সংঘ পরিবার ও BJP-র ফ্যাসিবাদী কায়দায় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হলে নিজেদের দলে অভ্যন্তরে দুর্নীতি ও বিরোধীশূন্য স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হয়’।
বঙ্গ রাজনীতির চার জন হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারি নিয়ে CBI-র বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। নারদ কাণ্ডে গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অধীর বলেন, ‘CBI চারজনকে গ্রেফতার করেছে। চারজনই বাংলার রাজনীতিক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বাংলার যেন কেউ না হয়। কাউকে ধরব, কাউকে ছাড়ব, এই নীতি CBI গ্রহণ করতে পারে না।’ উল্লেখ্য, মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীরও নাম জড়িয়েছে এই কেলেঙ্কারিতে। তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হল না, তা নিয়ে নাম না করে সুর চড়ালেন অধীর। অন্যদিকে, অধীর আরও বলেছেন, ‘যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, করোনা আবহে তাঁদের কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যাবে, সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে আমার। নারদ কাণ্ড পরিচিত দুর্নীতির ঘটনা। কিন্তু, এটা জটিল সময়। সারা বাংলা করোনা আবহে আক্রান্ত। মানুষ দিশেহারা। এই অবস্থায় গ্রেফতার করা কি সমীচিন? পরেও তো গ্রেফতার করা যেতে পারত।’