নারদ নিয়ে বিজেপির পুরনো পোস্ট থেকে ‘গায়েব’ মুকুল-শুভেন্দু
নারদ কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই মন্ত্রী সহ তৃণমূলের তিন নেতাকে৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও৷ অথচ একই মামলায় অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেপ্তার করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এবার বিতর্ক আরও এক ধাপ উস্কে দিয়েছে বিজেপির একটি পদক্ষেপ।
২০১৬ সালে নারদ কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিল বিজেপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ। সেই পোস্ট থেকে দুদিন আগে ‘গায়েব’ হয়ে গেছে শুভেন্দু-মুকুলের ছবি ও নাম। ২০১৬ সালে নারদ ফুটেজ সামনে আসার পরেই বঙ্গ বিজেপির ফেসবুক পেজে অভিযুক্ত মোট ১১ জনের নাম ও ছবি দিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে বর্তমান তৃণমূল নেতাদের সাথে সাথে ছিল তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়ের নামও।
তারপর জল অন্যদিকে গড়িয়েছে। সেইসময়ের তৃণমূলের দুই দাপুটে নেতা শুভেন্দু এবং মুকুল এখন বিজেপিতে। তাই নিজের নেতাকে কলঙ্কমুক্ত রাখতেই গতকাল বঙ্গ বিজেপির ওই পোস্ট থেকে শুভেন্দু, মুকুলের নাম ও ছবি মুছে দিয়েছে বিজেপি। এর আগে, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিওটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। সেই নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগে। অন্যদিকে, শোভন চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে বিজেপির সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামনে এসেছিল নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও৷ যদিও এই স্টিং অপারেশন চালানো হয়েছিল ২০১৪ সাল নাগাদ৷ এই ঘটনায় এর আগে একমাত্র অভিযুক্ত আইপিএস অফিসার এইচএমএস মির্জাকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই৷ তারপর একাধিকবার জেরা হয়েছে তৃণমূলের অভিযুক্ত নেতা মন্ত্রীদের৷ পরে মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন৷
ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেপ্তার করলেও মুকুল এবং শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করায়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷