মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বেকারত্বের হার প্রায় দ্বিগুণ
করোনা সংক্রমণ (COVID 19) তে থাকায় লকডাউন (Lockdown) ও কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে অধিকাংশ রাজ্য। যার জেরে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ নিম্নমুখী। আশঙ্কা সত্যি করে চড়চড় করে বাড়ছে বেকারত্বের হার। সদ্য শেষ হওয়া সপ্তাহে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৪৫ শতাংশ। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি নামে একটি বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। তাদের মতে ১৬ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে বেকারত্বের হার ১৪.৪৫। ৯মে শেষ হওয়া সপ্তাহে এই হার ছিল ৮.৬৭ শতাংশ। এক সপ্তাহে বেকারত্বে হার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ৪৯ সপ্তাহের মধ্যে বেকারত্বের এই হার সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে সংস্থা।
করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছর মে মাসে বেকারত্বের (Uemployment) হার ছিল সর্বোচ্চ। সে সময় ২১.৭৩ শতাংশে পৌঁছেছিল বেকারত্বের হার। তখন কেন্দ্র সার্বিক ভাবে লকডাউন ঘোষণা করে। কিন্তু চলতি বছরে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এপ্রিল মাসেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দেশ। রাজ্যে রাজ্যে বিধিনিষেধ ঘোষণা হয়েছ। যার ফলে দেখা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হয়েছে। মার্চ মাসে বেকারত্বর হার ছিল ৬.৫ শতাংশ। এপ্রিল মাসে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৯৭-এ। অন্যদিকে, কর্ম সংস্থানের হার মার্চ মাসে ছিল ৩৭.৮ শতাংশ। সেই হারও এপ্রিল মাসে কমেছে। সিএমআইই-র তথ্য অনুযায়ী তা দাঁড়িয়েছে ৩৬.৬ শতাংশে। লকডাউনের ফলে মানুষ কাজ খুঁজতেও পারছেন না। সেই কারণে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমেছে। সবকিছুর মূলেই আছে অর্থ।
সমীক্ষা সংস্থার মতে, এপ্রিল মাসে ১১ লক্ষ কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কাজ হারানোর সংখ্যাটা বহুগুণ। প্রায় ৭৩.৫ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। যদিও সংস্থার দাবি, বেকারত্বের হার কমার জন্য লকডাউন দায়ী হলেও, কর্মসংস্থান সংকোচনের কারণ হিসেবে শুধু লকডাউনকে দায়ী করা যায় না। সবথেকে বেশি কাজ হারিয়েছেন কৃষি ক্ষেত্রের মানুষ। যার জন্য লকডাউন দায়ী নয়। এপ্রিল মাসে যে ৭৩.৫ লক্ষ লোক কাজ হারিয়েছেন, তার মধ্যে ৬০ লক্ষ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিল মাসে কৃষিক্ষেত্রে ১২ কোটি লোক কাজ করেন। মে মাসে তা নেমে আসে ১১.৪ কোটিতে। অর্থাৎ হাতে কাজ থাকে না ৬০ লক্ষ মানুষের।