‘আমাদের সন্তানদের ভ্যাকসিন কেন বিদেশে পাঠানো হল’ চাপে মোদি সরকার
দ্রুত ভ্যাকসিন সাপ্লাই বাড়ানো হবে। অন্তত প্রতিশ্রুতি এমনই। চাপের মুখে আশ্বাস দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের আকাল। বিরোধীরা তাঁকে কটাক্ষ করে পোস্টার শেয়ার করছে, ‘মোদিজি আমাদের সন্তানদের ভ্যাকসিন কেন বিদেশে পাঠানো হল’? ভ্যাকসিন নিয়ে প্রবল চাপে থাকা কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে এবার মোদি জানালেন, সরবরাহ শীঘ্রই বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জেলা স্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে মোদি বলেছেন, ১৫ দিনের ভ্যাকসিনের স্টক এবং টিকাকরণের উপযোগী সময়সীমা আগাম জানিয়ে দেওয়া হবে রাজ্যগুলিকে। পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে প্রতিটি জেলাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে নিজস্ব অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেছেন।
বিভিন্ন রাজ্যের একঝাঁক জেলাশাসক, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কথা বলেন। সরাসরি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তিনি নির্দেশিকাও দিয়েছেন জেলাগুলিকে। দেশজুড়ে যে ভ্যাকসিনের অভাব প্রধান সঙ্কটে পরিণত সেটা বুঝে প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বস্তুত গোটা দেশবাসীকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, অনেক বড় আকারে এবার ভ্যাকসিন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সেই প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই প্রতিটি রাজ্য নির্দিষ্ট সময়সীমা পাবে। ভ্যাকসিন এবং টিকাকরণের নির্ঘন্ট জানিয়ে দেওয়া হবে আগাম। যাতে প্রতিটি রাজ্য এবং জেলা ১৫ দিন আগে থেকেই রূপরেখা প্রস্তুত করতে পারে যে কতজনকে কতদিনের মধ্যে দেওয়া সম্ভব হবে টিকা।
গ্রামীণ এলাকায় যে বিপুলভাবে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার সংক্রমণ, সেটা জানিয়ে রীতিমতো সতর্ক করেছেন মোদি। একইভাবে মোদি বলেছেন, সংক্রমণ বাড়লে স্থানীয়ভাবে কন্টেইনমেন্ট জোনই আদর্শ পন্থা। বারংবার এই কথা বলে মোদি প্রকৃতপক্ষে আভাস দিচ্ছেন যে, দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকার সামগ্রিকভাবে আর লকডাউন ঘোষণা করতে চাইছে না। রাজ্যগুলি পরিস্থিতি বিচার করে লকডাউন করুক। মোদি বলেছেন, একইসঙ্গে বেশ কিছু রাজ্যে যেমন সংক্রমণ কমে যাচ্ছে, তেমনই কিছু রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। এই দ্বিতীয় সংক্রমণে সবথেকে বেশি উদ্বেগ তৈরি হয়েছে গ্রামাঞ্চল নিয়ে। গ্রামীণ এলাকায় টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থা চালু করার উপর জোর দিয়েছেন মোদি। বিশেষ করে পরীক্ষা, ওষুধ এবং ভ্যাকসিন তিনটিই গ্রামে আকাল। অতএব আপাতত সবথেকে বড় সঙ্কট গ্রামে সংক্রমণ ঠেকানো।