করোনা রোগীদের পাশে জুন, চালু হল হেল্পলাইন
মেদিনীপুরের সেলিব্রিটি বিধায়ক জুন মালিয়ার (June Maliah) উদ্যোগে বুধবার থেকে মেদিনীপুর শহরের করোনা (Covid19) আক্রান্তদের বাড়িতে বিনামূল্যে দুপুরের খাবার পৌঁছে দেওয়া শুরু হল। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আহা রে আহার, বাড়ির মতো খাবার’। এদিন বিধায়ক নিজেই শহরের সঙ্গতবাজারে দলের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড পার্টি অফিসে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। আর এক বিধায়ক তথা জেলা কমিটির চেয়ারম্যান দীনেন রায় ও জেলা সহ সভাপতি হিমাদ্রি খান উপস্থিত ছিলেন।
এদিন হোম আইসোলেশনে থাকা রোগী আছেন এরকম ৯০টি বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। খাবারে ছিল ভাত, ডাল, সব্জি ও ডিম। স্বেচ্ছাসেবকরা দিদিকে বলো গেঞ্জি পরে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিয়ে আসছেন। হিমাদ্রিবাবু বলেন, আপাতত ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন। পরে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। বিধায়ক বলেন, যাঁদের বাড়ির পরিজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের নানারকম চিন্তায় থাকতে হয়। এই সময় রান্না করাটাও তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই এই সিদ্ধান্ত। আমি আমার এই ভাবনার কথা যুব তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের জানিয়ে ছিলাম। তাঁরাও ইচ্ছা প্রকাশ করায় এদিন থেকে প্রকল্প চালু করে দেওয়া গেল। এই প্রকল্প কেবলমাত্র যাঁরা হোম আইসোলেশনে আছেন তাঁদের জন্য।
হিমাদ্রিবাবু বলেন, এখানে ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারও রাখা হবে। যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। খাবারও যাঁরা ইচ্ছুক তাঁদেরকেই দেওয়া হবে। বিধায়ক বলেন, এর জন্য দুটি হেল্পলাইন নম্বর রাখা হয়েছে। ৯৭৭৫৪০১১২২ এবং ৯০০২০৩৭১৩৩, এই নম্বরে ফোন করলে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। এদিন তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে শহর তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত খাবার বিলি শিবিরেও যান। সেখানে রোগীর পরিজনদের প্রতিদিন দুপুরে আহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি নিজে হাতে খাবার পরিবশেন করেন। পরে সদর ব্লকের দেপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। কথা বলেন, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গেও।
এদিন খড়্গপুরেও আর এক সেলিব্রেটি বিধায়ক বিজেপির হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে করোনা আক্রান্তদের জন্য ‘এমএলএ হেল্পলাইন’ (Help Line Number) পরিষেবা চালু হয়। বিধায়ক বলেন, দুটি হেল্পলাইন নম্বর রাখা হয়েছে। ৯৩৩০২৭১০৭৩ এবং ৯৩৩০২৪৭৯১৩, এই নম্বরে যোগাযোগ করলে করোনা আক্রান্তদের ওষুধ, দুপুরের খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমি একটি অ্যাম্বুলেন্স ও ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করেছি। খুব শীঘ্রই তা চলে আসবে। তিনি এদিন খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। করোনা রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। সহযোগিতার আশ্বাসও দেন।