৬০ কোটি টাকার ভ্যাকসিন কিনল রাজ্য সরকার
রাজ্যের মানুষকে নিখরচায় টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে ১৮ লক্ষ টিকা বাবদ ৬০ কোটি টাকা দিল রাজ্য সরকার। এর মধ্যে ১১ লক্ষ ডোজ টিকা ইতিমধ্যেই কেনা হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই অবশিষ্ট সংখ্যক টিকাও চলে আসবে রাজ্যে। সেই টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হবে রাজ্যবাসীকে। এদিকে, বুধবার করোনায় মৃতের সংখ্যায় নতুন রেকর্ড তৈরি হল পশ্চিমবঙ্গে। একদিনে মৃত্যু দেড়শো অতিক্রম করল। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, এদিন সারা রাজ্যে করোনায় মোট ১৫৭ জন মারা গিয়েছেন! কিছুটা স্বস্তির খবর, করোনা সংক্রমণ সামান্য কমেছে এদিনই।
এদিকে, গতকালই জানা যায় সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুধবার দু’জনেই স্থিতিশীল রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নিজের বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির অনুরোধ করা হলেও তিনি বাড়িতেই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে চান বলে জানিয়েছেন। সময়ে সময়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন চিকিৎসকরা। তাঁর শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা রয়েছে ৯০ শতাংশের বেশি। এদিকে, বুদ্ধবাবুর স্ত্রী মীরা দেবী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিন তাঁর হেলথ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, আপাতত ভালো রয়েছেন তিনি। অক্সিজেন না দিয়েও তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৮ শতাংশ রয়েছে। অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও আয়ত্তের মধ্যেই রয়েছে।
রাজ্যের একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই খোঁজ মিলেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত ৫ জন। যাঁদের মধ্যে একজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একে একে বাড়তে থাকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তা এখন অন্যতম চিন্তার কারণ চিকিৎসকদের কাছে। অন্যদিকে, চারজন মানসিক অসুস্থ রোগীকে এদিন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের রামমোহন ব্লকের সামনে ইতস্তত পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। এনিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি নজরে আসে স্বাস্থ্য দপ্তরের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই অসুস্থ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা রামমোহন ব্লকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু ব্লকটি কোভিড ওয়ার্ডে পরিণত হওয়ায় তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এরপরই তাঁরা নীচে ইতস্তত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে পরে তাঁদের ফের অন্য ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেইসঙ্গে, এদিনও রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারালেন দুই চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বাঁকুড়া শাখার সম্পাদক অশোককুমার চট্টপাধ্যায়। দু’টি ডোজের টিকা নেওয়ার পরেও তিনি করোনা আক্রান্ত হন। করোনায় এছাড়া মৃত্যু হয়েছে তারক দাস নামে আর এক ডাক্তারের।