দই খেলেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা?
বাঙালি বাড়িতে শেষ পাতে দই খাওয়ার অভ্যেস বহু পুরনো। যদিও বর্তমানে এই রীতির মধ্যে সামান্য ছেদ পড়েছে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, আজকের আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞানও দইয়ের স্বাস্থ্যকর গুণ নিয়ে বিস্মিত। বহুবিধ গুণ সমৃদ্ধ এই খাদ্য মানুষকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই এই দুর্বিষহ করোনা পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে পাতে রাখতেই পারেন পাঁচ চামচ দই (Curd) । দেখবেন অচিরেই ঘটছে ম্যাজিক!
দইয়ের উপকারিতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে— কোভিড সঙ্কটের মধ্যে ইমিউনিটি বাড়িয়ে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এই কাজে আপনাকে ভীষণরকম সাহায্য করতে পারে দই। দইয়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, উল্লেখযোগ্য কিছু বি ভিটামিনও রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদানগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া দইয়ের মধ্যে উপস্থিত প্রোটিন রক্তের শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এভাবেও দই ইমিউনিটি বাড়ায়।
- পেটের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে— দইয়ের মধ্যে ভালো পরিমাণে প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা, হজমতন্ত্রের কার্যকরিতা বজায় রাখা, খাদ্যের পুষ্টি উপাদান শোষণে সাহায্য করে। ফলে দেহের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
- শরীর ঠান্ডা— গ্রীষ্মের সুপারফুড হল দই। এই খাদ্য শরীর ঠান্ডা রাখতে, শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- ত্বকের স্বাস্থ্য— ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ও জেল্লা বজায় রাখতে দই খাওয়া খুবই উপকারী।
টক দই খান
মিষ্টি দইয়ের তুলনায় টক দইয়ের উপকারিতা কয়েকগুণ বেশি। মিষ্টি দইয়ের মধ্যে দুধের ক্রিম, মিষ্টি ইত্যাদি ব্যবহার হয়। এই উপাদানগুলি দইয়ের গুণ কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে টক দইতে এই উপাদানগুলি থাকে না। আর টক দইয়ের সুবিধা হল, বাড়িতেও খুব সহজেই এই দই বানানো যায়।
কতটা খাবেন? কখন খাবেন?
মোটামুটি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ পাঁচ বড় চা চামচ দই খেলেই হবে। ছোটরা এর থেকে কম পরিমাণে খেলেও চলবে। আর দই যে কোনও সময়ে খাওয়া যায়। খাওয়ার পর, দু’টি বড় মিলের মাঝে দই খাওয়া যেতে পারে।
যে কেউ দই খেতে পারেন
যে কোনও ব্যক্তি দই খেতে পারেন। এমনকী দুধ খেলে সমস্যা (ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স) হয়, এমন ব্যক্তিও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে দই খেতে পারেন। করোনা আক্রান্তের পাতেও দই রাখা যেতেই পারে।