রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

করোনাকালে দেখা মিলছে না বিজেপি বিধায়কদের, বনগাঁয় ক্ষোভ

May 21, 2021 | 2 min read

রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের (TMC) জয়ের আবহের মধ্যেও বনগাঁ (Bongaon) মহকুমার চারটি আসনেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি’র (BJP) প্রার্থীরা। ভোটের আগে পদ্ম শিবিরের প্রার্থীরা একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাতে মজে গিয়ে এই মহকুমার বড় অংশের মানুষ রায় দিয়েছিলেন বিজেপি’র পক্ষে। এখন তাঁরা আক্ষেপ করছেন। কারণ ভোট মিটতেই প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গিয়েছেন নির্বাচিত বিধায়করা।


বনগাঁ উত্তর বিধানসভায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি’র অশোক কীর্তনিয়া (Ashok Kirtania)। ভোটে জেতার পর থেকে বিধায়ককে এলাকায় সেভাবে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। এই এলাকায় বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত। শুধুমাত্র বনগাঁ পুরসভা এলাকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকশো। মারা গিয়েছেন বেশ কয়েকজন। করোনা আবহে এখনও পর্যন্ত বনগাঁর মানুষ বিধায়ককে পাশে পাননি বলে অভিযোগ। এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, ভোটে হারলেও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা করোনাকালে যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা প্রশংসার যোগ্য। অথচ বিজেপি নেতাদের দেখা নেই। ভোটের আগে তাঁরাই প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বামেদের রেড ভলান্টিয়াররাও। এলাকায় দেখা না পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। তিনি বলেন, এই সময়ে সবাইকেই সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। কেউ আমাকে ফোন করলে তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করছি। তাঁর কথায়, ভোটে জিতেই আমি নিজের উদ্যোগে দু’টি অ্যাম্বুলেন্স বের করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু অক্সিজেনের অভাবে তা করা যায়নি।


শহরে বিধায়ককে দেখা না গেলেও কাজ করে চলেছে বনগাঁ পুরসভা। ইতিমধ্যেই পুরসভার পক্ষ থেকে ১০০ বেডের সেফহোম তৈরি করা হয়েছে। পুর স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে গিয়ে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে। নিয়ম করে ভ্যাকসিন ও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে যাঁরা দুঃস্থ, তাঁদের বিনামূল্যে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পুর প্রশাসক শঙ্কর আঢ্য বলেন, আমাদের কাছে মানুষের জীবন আগে। নেত্রীর নির্দেশেই মানুষের জন্য কাজ করে চলেছি। বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বিজেপি’র কাছে মানুষের জীবনের কোনও দাম নেই। ওদের কাছে রাজনীতিই বড়। সেকারণেই বিজেপি’র কোনও নেতাকে এখন দেখা যাচ্ছে না।


একই অভিযোগ করেছেন বাগদার বাসিন্দারাও। তাঁদের অভিযোগ, কিছুদিন আগেই এলাকায় এসে হাতজোড় করে ভোট চাইতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতাদের। আর এখন ভোটে জেতার পর আমাদের খোঁজ নিচ্ছেন না তাঁরা। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সকলের বাড়ি বাড়ি যাওয়া সম্ভব না হলেও ফোন করে খোঁজখবর নিচ্ছি। করোনা আক্রান্ত পরিবারগুলির পাশে আছি। ভোটে জেতার আগে গাইঘাটার মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন বিজেপি’র সুব্রত ঠাকুর। কিন্তু করোনা যখন মাথাচাড়া দিয়েছে, তখন তাঁকে এলাকায় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। গাইঘাটার মানুষের অভিযোগ, বিধায়ককে এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। সুব্রতবাবু বলেন, এখন জমায়েত করে কোনও কিছু করা উচিত নয়। গাইঘাটায় ৫০ বেডের সেফ হোম তৈরির ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে বিধায়ককে কাছে না পেয়ে একই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বনগাঁ দক্ষিণের বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দা অসীম বিশ্বাস বলেন, ভোটের আগে ঘরের ছেলে বলে প্রচার করেছিল বিজেপি। এখন দেখছি, ঘরের ছেলেই পর হয়ে গিয়েছে। ভোটে জেতার পর বিধায়ককে এলাকায় দেখা যায়নি।


বনগাঁ মহকুমার বাসিন্দাদের জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। ইতিমধ্যেই বনগাঁ হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডকে ৫০ থেকে বাড়িয়ে ২৫০ বেড করা হয়েছে। হাসপাতালে দুটি অক্সিজেন প্লান্টের তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ৫০ বেডের এইচডিইউ ওয়ার্ড তৈরির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।এই মুহূর্তে

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid19, #COVID Second Wave, #bongaon. bjp

আরো দেখুন