দৈনিক টিকাকরণের হার দিনদিন কমছে ভারতে
এপ্রিল মাসে ভারতের দৈনিক টিকাকরণের হার সর্বাধিক ছিল। তবে মে মাসের শুরুতে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকা চালু হওয়ার পরে তা প্রায় অর্ধেকে এসে ঠেকে।
এপ্রিল মাসে, ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৩০,২৪,৩৬২ টি করে ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। মে মাসে, এই সংখ্যাটি ১৬,২২,০৮৭- এ নেমে এসেছে। কেন্দ্র- রাজ্যের সংঘাত এবং টিকাকরণের স্লট পেতে কোউইন অ্যাপে সংগ্রাম সবই বিষয়টিতে প্রভাব ফেলেছে। মে মাসেই দেশে মহামারী ভয়ানক আকার ধারণ করে।
গত মাসে যখন ৪৫ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হচ্ছিল তখন গোটা দেশে ৯ কোটির সামান্য কম ডোজ সরবরাহ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্যসরকার মিলে মোট বরাদ্দ ৪ কোটি ডোজ।
১৬ জানুয়ারি দেশে টিকাকরণ কর্মসূচী শুরু হওয়ার পর থেকে এই অবধি ১৮ কোটির সামান্য বেশি টিকা দেশ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দৈনিক হিসেব ধরলে যা প্রায় ১৫ লক্ষ। ভারতের জনসংখ্যার নিরীখে তা দৈনিক ০.১২ শতাংশ। যা বিশ্বে সর্ব নিম্ন।
আমেরিকা প্রতিদিন জনসংখ্যার ০.৫ শতাংশ টিকা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য দিয়েছে ০.৭৬ শতাংশ, জার্মানি ০.৮৭ শতাংশ, ইতালি ০.৮ শতাংশ এবং কানাডা দৈনিক গড়ে ০.৯৬ শতাংশ টিকা দিচ্ছে।
টিকার আকাল সামলাতে কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের মধ্যে সময় সীমাও বাড়িয়েছে।
সরকার যদিও ভ্যাকসিনের আকালের কথা মানতে নারাজ। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় বিষয়টি সামনে এসেছে যে ঘাটতির কথা মাথায় রেখেই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যেকার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
নীতি আয়োগ প্রতিনিধি ডাঃ ভি কে পালের মতে। ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের সময়সীমা বাড়ানোর সাথে ভ্যাকসিনের ঘাটতির কোন সম্পর্ক নেই। তাঁর মতে দ্বিতীয় ডোজটি কিছুদিন পরে দিলে সংক্রমণের আশঙ্কা আরও কম থাকে। যুক্তরাজ্য যদিও দুটি ডোজের মধ্যেকার সময়সীমা কমিয়েছে। ১২ সপ্তাহের বদলে তা আট সপ্তাহ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি ভিকে পালের মতে কোভিডের ভারতীয় স্টেইনের কথা মাথায় রেখেই নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু বিভিন্ন গবেষণাতেই দ্রুততার সাথে দেশবাসীকে টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কোথাওই ১২ সপ্তাহের বেশি দেরির কথা বলা হয়নি। বেশিরভাগ গবেষণাতেই বলা হয়েছে প্রথম ডোজের কার্যকারিতা ১৬ সপ্তাহে নয় ১২ সপ্তাহেই শেষ হয়ে যায়।