নারদ কাণ্ডে জামিন নিয়ে মতভেদ ২ বিচারপতির
নারদ মামলায় চার নেতা-মন্ত্রীর জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে এল হাই কোর্টের দুই বিচারপতির মতভেদ। হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলছে মামলার। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের পক্ষে ছিলেন অরিজিৎ। কিন্তু রাজেশ এই ক’জনের জামিনের বিরোধিতা করেন। শেষে ওই চারজনের গৃহবন্দির নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। এর পরই অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানিয়েছেন, জামিনের জন্য তাঁরা বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন জানাবেন।
গৃহবন্দির বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘একজন বলেছেন জামিনের জন্য। যদিও অপর জন তাঁর বিরোধিতা করেছেন। সে জন্যই মধ্যবর্তী এই সময়ে গৃহবন্দির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’’
গৃহবন্দির নির্দেশে স্বাভাবিকভাবেই খুশি নন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। অভিষেকও গৃহবন্দির বিরোধীতা করেন এবং অভিযুক্তদের জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন। বিষয়টি নিয়ে বিচারপতিদের কাছে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘গৃহবন্দি কেন? কোভিড পরিস্থিতিতে ফিরহাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর অবর্তমানে অনেক কাজ আটকে রয়েছে।’’ অভিষেকের এই সওয়ালের জবাবে সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, ‘‘গৃহবন্দি হলে তো বাড়ি থেকে কাজ করতে কোনও বাধা নেই।’’ এর জবাবে অভিষেক বলেন, ‘‘এক জন মন্ত্রীর পক্ষে সব কাজ বাড়ি থেকে করা সম্ভব নয়। দফতরের ফাইল বাড়িতে বসে কী করে ছাড়বে?’’ এই মামলায় অভিযুক্তদের সাধারণের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। গৃহবন্দির নির্দেশ আসতেই বৃহত্তর বেঞ্চে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ এবং আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে স্থানান্তরিত করার পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘বৃহত্তর বেঞ্চে যদি মামলা পাঠানো হয়। তবে তা আজই হোক। আমরা দ্রুত চাই।’’