বাড়িতে শোভনের ‘ভালো’ চিকিৎসা করাবেন, আদালতের রায়ে প্রতিক্রিয়া বৈশাখীর
নারদ কাণ্ডে (Narada Scam Case) শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) গ্রেফতারের পর থেকেই ভেঙে পড়েছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee)। গ্রেফতারের দিন শুরুর দিকে বৈশাখীর খোঁজ পাওয়া না গেলেও কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে যখন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়, তাঁকে ওষুধ দেওয়ার জন্য সংশোধনাগারের দরজায় বৈশাখীর অঝোর কান্না দেখেছিল আপামর রাজ্যবাসী। এরপর শোভন-বৈশাখী বনাম রত্না লড়াইয়েও জল গড়িয়েছে। রত্নাকে আটকাতে এসএসকেএম-এর সুপারকে চিঠি দিয়েছেন শোভন। এমনকী চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও বৈশাখী ও আইনজীবীকেও দিতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। শেষমেশ জামিন এখনও না মিললেও শোভন সহ বাকি চার হেভিওয়েটকে আপাতত গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তাতেই কিছুটা আশার আলো দেখছেন বৈশাখী।
এদিন হাইকোর্টের নির্দেশের পরই বৈশাখী বলেন, ‘আমরা চাই শুনানি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হোক। ভগবান কিছুটা তাকিয়েছে, তাই হয়তো বাড়ি নিয়ে যেতে পারছি। শোভন দার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। বাড়ি নিয়ে গিয়ে ভালো করে চিকিৎসা করাতে পারবো আশা রাখছি।’
ইতিমধ্যেই নারদ কাণ্ডে শোভনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই প্রসঙ্গেও এদিন বৈশাখী বলেন, ‘শোভন দা চার্জশিট পড়েছে। অনেক কিছুই তাতে দেওয়া হয়েছে, যা ঠিক নয়। শোভন দা এটা নিয়েও লড়াই করবে।’
এর আগেও শোভনের (Sovan) গ্রেফতারি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছিলেন বৈশাখী। শোভনকে গ্রেফতার করতে বাড়িতে CBI হানার ঘটনায় এখনও ট্রমা থেকে বেরোতে পারেননি তিনি (Baisakhi)। সেই সঙ্গে শোভনের শুভকামনায় ‘ঈশ্বর বিশ্বাসী’ বৈশাখীর বিশ্বাস, সুবিচার মিলবেই।
আগেও শোভন-বান্ধবী বলেছেন, ‘আমি ঈশ্বর বিশ্বাসী। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছি, শোভন যেন যন্ত্রণা না পায়। ঈশ্বর নিশ্চয়ই শোভনকে আনন্দের দিনে ফিরিয়ে দেবে। শোভনের মন শিশুর মতো নিষ্পাপ। হয়তো প্রত্যেকের জীবনে কষ্ট আসে, ওর জীবনেও এসেছে। যে এত মানুষের ভালোবাসা পান, তার কিছু খারাপ হতে পারে না’। তবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তিনি যে কৃতজ্ঞ, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বৈশাখী। তৃণমূল নেত্রী কোনও আন্দোলনের ডাক দিলে যাবেন? শোভনের গ্রেফতারির দিনই এই প্রশ্নের জবাবে বৈশাখী বলেছিলেন, ‘উনি বললে নবান্নে ওনার চটিও রেখে আসতে পারি। শোভনের পাশে যেভাবে উনি এসে দাঁড়ালেন, ওনার জন্য আমি প্রাণ দিতেও প্রস্তুত।’