হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণ সারে সহজেই, আশ্বাস চিকিৎসকদের
শুরু হয়েছে নয় আতঙ্ক কালোর পরে সাদা। করোনা কালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই মাথাচাড়া দিচ্ছে হোয়াইট ফাঙ্গাস (white fungus)। এমনও শোনা যাচ্ছে, এই ছত্রাক কালো ছত্রাকের থেকেও অনেক বেশি বিপজ্জনক। কিন্তু এমন দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন বহু চিকিৎসক। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের দাবি তেমনটাই। বরং বিশেষজ্ঞদের দাবি, হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণ অনেক সাধারণ। খুব বেশি অবহেলা করলে অন্য কথা। নাহলে এই ছত্রাক মোটেই প্রাণঘাতী নয়।
প্রসঙ্গত, হোয়াইট ফাঙ্গাসের দেখা মিলেছিল বিহারের পাটনায়। কিন্তু সেই সময় পাটনার মেডিক্যাল কলেজ এই সংক্রমণকে সাদা ছত্রাকের সংক্রমণ বলে মেনে নেয়নি। কিন্তু এবার সংক্রমণের দেখা মিলেছে উত্তরপ্রদেশেও। অতিমারী আবহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী ঘোষণা করেছে রাজস্থান, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্য। মারণ ছত্রাকের পরে হোয়াইট ফাঙ্গাস নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক বাড়তে শুরু করছে। কিন্তু চিকিৎসকরা অনেকেই আশ্বাস দিচ্ছেন, এই ছত্রাক ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতো নয়।
এবিষয়ে বম্বে হাসপাতালের চিকিৎসক কপিল সালগিয়া, যিনি ইতিমধ্যেই কালো ছত্রাকের সংক্রমণে আক্রান্তদের চিকিৎসা করেছেন, তাঁর মতে কালো ছত্রাক অনেক বেশি বিপজ্জনক। ওই চিকিৎসকের কথায়, “ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ তথা মিউকরমাইকোসিস অনেক বেশি বিপজ্জনক। কেননা এটা সাধারণত মানবশরীরে দেখা যায় না। আমরা খুব বেশি কেস এর আগে পাইনি। কিন্তু হোয়াইট ফাঙ্গাসের ফলে তৈরি হওয়া ক্যান্ডিডিয়াসিস সহজেই শনাক্ত করা যায়। সেরেও যায়। যদি না অবহেলা করা হয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা প্রাণঘাতী নয়।”
পাশাপাশি একই মত ছোঁয়াচে রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ঈশ্বর গিলাডার। তিনি জানাচ্ছেন, “হোয়াইট ফাঙ্গাস আসলে একটা মিথ ও ভ্রান্ত ধারণা মাত্র। এটা হল ক্যানডিডা নামের ছত্রাক থেকে হওয়া সংক্রমণ। এটা খুবই সাধারণ ছত্রাক সংক্রমণ।” তিনি এও জানিয়েছেন, হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণ মূলত ঠোঁট, নাক, মুখের ভিতর কিংবা যৌনাঙ্গের আশপাশে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, ভারতে এইডস সম্পর্কে প্রথম সকলকে সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন এই প্রবীণ চিকিৎসক। ঠিক কী ধরনের শারীরিক অবস্থায় এই ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা যায়? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে, ডায়াবেটিস থাকলে কিংবা করোনা চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলেই নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে এই ছত্রাকের সংক্রমণ।