বেসরকারি সংস্থার কর্মী, পরিবারকেও কর্মক্ষেত্রের উদ্যোগে দেওয়া যাবে টিকা
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিও করোনা টিকাকরণে (Corona vaccination) এগিয়ে এসেছে। এবার তারা আরও বড় উদ্যোগ নিল। বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের তো বটেই, তাঁদের পরিবারকেও টিকা দেওয়া যাবে সম্পূর্ণ কর্মক্ষেত্রের উদ্যোগে। শনিবার এই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগে স্বভাবতই অনেকটা স্বস্তিতে বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা।
দেশে টিকাকরণের তৃতীয় ধাপে এই মুহূর্তে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ না হওয়ায়, সেই কাজই চলছে। এর মাঝেই বেসরকারি সংস্থাগুলির আবেদন মেনে কেন্দ্র জানিয়েছে, কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের (Employee’s family members) ৪৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের সংস্থার উদ্যোগেই টিকা দেওয়া যাবে। প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে সংস্থা। এমনকী টিকা উৎপাদন সংস্থার কাছ থেকে সরাসরি কেনাও যাবে। তবে সরকারি সংস্থায় বিনামূল্যে টিকা দিতে হবে কর্মীদের।
তবে কেন্দ্রের প্রকাশ করা নতুন গাইডলাইনে কর্মীদের পরিবারকে টিকাকরণের বিষয়টি দুটি ধাপে হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রথমত, ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে পরিবারের সদস্যরা সরকারের দেওয়া ভ্যাকসিন বিনামূল্যেই পেতে পারেন। শুধু টিকাপ্রাপ্তির দায়িত্ব নিতে হবে সংস্থাকে। আর কর্মীর পরিবারের ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিরা বিনামূল্যে টিকা নাও পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন কেনা হবে সংস্থার তরফে, সেখান থেকে দাম দিয়েই টিকা নিতে হতে পারে। প্রতিটি রাজ্যের তরফে যেভাবে টিকাকরণ প্রকল্প চলছে, তার আওতাভুক্ত হতেও সমস্যা নেই। কেন্দ্রের এই নয়া ছাড়পত্রে স্বভাবতই খুশি সকলে। ভ্যাকসিন নিয়ে সংকটের মাঝে যদি কর্মক্ষেত্রই এভাবে দায়িত্ব নিয়ে কর্মীর পরিবারের সদস্যদেরও টিকাকরণের ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে অনেকটা চিন্তামুক্ত হতে পারেন আমজনতা।