ঘূর্ণিঝড় যশের মোকাবিলায় উপান্নে রাত জাগবেন মমতা
যশ-যুদ্ধে জোড়া ফলা নবান্ন ও উপান্ন। দুর্যোগের দু’দিন সেখানে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যশ ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Yaas) জন্য উপান্নর পাশাপাশি কন্ট্রোল রুম হচ্ছে নবান্নেও। উপান্ন-য় যে কন্ট্রোল রুম তৈরি হচ্ছে তাতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। মঙ্গল ও বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ওই কন্ট্রোল রুমে থেকে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করবেন বলে জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে।
রাজ্যের সচিবালয় নবান্নের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থেকে যাবতীয় প্রস্তুতির ওপর সার্বিক ভাবে নজর রাখা হচ্ছে। আমপানের সময় যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করেছিল প্রশাসন। এ বারও সে ভাবে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রবিবার তাই প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা ব্যস্ত ছিলেন মঙ্গল ও বুধবারের ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলার প্রস্তুতিতে। গত সপ্তাহেই নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রতি মুহূর্তের খবর রাখছেন। তিনি নিজেই সবকিছু নজর রাখবেন। আমরা তাঁর নির্দেশেই কাজে গতি বাড়িয়েছি। শুধু বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরই নয়, একাধিক দফতরের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি জেলাস্তরে বিপর্যয় মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন।’’
সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে বসেই রবিবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় থাকা সুন্দরবন এলাকার মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষার কাজ করছি। আশাকরি এই বিপর্যয় থেকে আমরা সুন্দরবনবাসীকে রক্ষা করতে পারব।’’
ঘূর্ণিঝড়ের আগাম আভাস পেয়ে যাওয়া প্রশাসন এ বার অনেক আগে থেকেই আটঁঘাট বাঁধতে শুরু করেছিল। তাই মনে করা হচ্ছে, সোমবারেই বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত প্রস্তুতিও চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সূত্রের খবর, সোমবার নবান্নে এসে দুর্যোগ মোকাবিলার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে পরামর্শও দিতে পারেন তিনি। তাই প্রস্তুতি এখনই চূড়ান্ত বলতে নারাজ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।