বারাসত হাসপাতালকে ১৭টি বাইপ্যাপ মেশিন দিলেন সাংসদ কাকলি
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে রাজ্য সরকার। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য একাধিক হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন চলছে। করোনা চিকিৎসায় বারাসত জেলা হাসপাতালকে ‘মডেল হাসপাতাল’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেই প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রবিবার বারাসত জেলা হাসপাতালের (Barasat Hospital) হাতে ১৭টি বাইপ্যাপ মেশিন তুলে দিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)। এর ফলে করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের জন্য আই সি ইউ পরিষেবা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে ইমারজেন্সিতে একটি অক্সিজেন কিয়স্কও তৈরি হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাইপ্যাপ মেশিনগুলি হল এক ধরনের ভেন্টিলেটর মেশিন। হাসপাতালে ২০টি আই সি ইউ বেড রয়েছে। এই মেশিনের সাহায্যে আরও প্রায় ৩০টি আই সি ইউ বেড বাড়ানো হবে।
রবিবার সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার এই মেশিনগুলি হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলের হাতে তুলে দেন। সেই সঙ্গে ৫০০টি পিপিই কিটও তুলে দেন। এদিনের এই কর্মসূচিতে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বারাসত পুরসভার পুর প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সাংসদ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এই জেলা হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। মেডিক্যাল কলেজের কাজও চলছে। চিকিৎসকরা দিনরাত এক করে লড়াই চালাচ্ছেন। চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতির জন্য এদিন আরও সামগ্রী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হল। সুপার ডাঃ সুব্রত মণ্ডল বলেন, এই মুহূর্তে বাইপ্যাপ মেশিনগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইমারজেন্সিতে ১০ বেডের অক্সিজেন কিয়স্ক চালু হবে। কাজ হয়ে এসেছে। চলতি সপ্তাহেই চালু হয়ে যাবে। এর ফলে, কোনও রোগী শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে এলে এখানে প্রথমেই কিছুটা অক্সিজেন সাপোর্ট পাবেন।
অন্যদিকে, এদিনই বারাকপুরের ১৫ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন ‘নন্দিনী ভিলা’ প্রেক্ষাগৃহে ছ’বেডের একটি অক্সিজেন পার্লারের উদ্বোধন হল। বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং বারাকপুরের পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা উদ্বোধন করেন। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট তপাদারের ব্যক্তিগত উদ্যোগেই এই পার্লার চালু হয়েছে। সেই সঙ্গে এদিনই ওই অনুষ্ঠান থেকে ৫০টি ‘টোটো অ্যাম্বুলেন্স’, একটি স্যানিটাইজার ভ্যানের উদ্বোধন করা হয়েছে। সম্রাটবাবু বলেন, কোনও মানুষ যদি আমাদের খবর দেন, তাহলে এই টোটো অ্যাম্বুলেন্স বিনামূল্যে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে হাসপাতালে পৌঁছে দেবে। কোনও মানুষ যদি না খেয়ে থাকেন, অথবা করোনা আক্রান্ত হয়ে খাবার না পান, তাহলেও আমাদের প্রতিনিধিরা তাঁদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেবেন। প্রসঙ্গত, এদিনের অনুষ্ঠান থেকে প্রয়াত সাংবাদিক অলোককুমার ঘোষের মেয়ের সারাজীবনের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন সম্রাটবাবু। পাশাপাশি, পুলিস কমিশনাব এবং বিধায়কের হাত দিয়ে তিনি তাঁর স্ত্রীর হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দিয়েছেন। এদিন বেলঘরিয়ার নীলগঞ্জ রোডে একটি ১০ বেডের আইসোলেশন সেন্টার চালু হয়েছে। দমদমের সাংসদ সৌগত রায় তার উদ্বোধন করেন।