আন্দোলনের ৫৫ বছর পার, কেমন আছে নকশালবাড়ি?
১৯৬৭ সালের ২৫শে মে। কৃষকদের অধিকার রক্ষার দাবিতে গর্জে উঠেছিল নকশালবাড়ি। বাসিন্দাদের একাংশের মতে, সেসময় পুলিশ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। পরের দিনই পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। প্রাণ গিয়েছিল কৃষকের, প্রাণ গিয়েছিল কৃষক রমণীর, শিশুর। সেই শুরু। নকশালবাড়ির আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশ জুড়ে। সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখেছিলেন তৎকালীন যুব সমাজের অনেকেই। এরপর তিস্তা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। সেই আন্দোলনের আগুন আজ অনেকটাই নিভেছে নকশালবাড়িতে।
অতি বাম আন্দোলনের সেই আঁতুড়ঘরে এখন আরএসএসের শক্তিশালী সংগঠন। বছর কয়েক আগে এই নকশালবাড়িতে পাত পেরে খেয়েছিলেন অমিত শাহ। ২০১৪ সালে হাতিঘিষাতে গিয়ে আদর্শ গ্রাম হিসাবে গড়ে তোলার জন্য দত্তক নিয়েছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া। কথা ছিল ডিজিটাল গ্রাম হবে এখানে। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি সেই স্বপ্ন আজও স্বপ্নই থেকে গিয়েছে। ঠিক যেভাবে দিন বদলের স্বপ্ন আজও স্বপ্নই থেকে গিয়েছে অনেকের কাছে। চারদিকে শুধুই অনুন্নয়ন। এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও তুঙ্গে।
প্রয়াত চারু মজুমদারের পুত্র তথা সিপিআইএম(লিবারেশন) দার্জিলিং জেলা সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার বলেন, এখন তো ওখানে কৃষিই পেছনের সারিতে চলে গিয়েছে। তবে শ্রমিকের স্বার্থে আন্দোলন জারি রয়েছে। ওই সমস্ত এলাকায় এখন আরএসএসের কিছুটা দাপট রয়েছে। আদর্শ গ্রামও হয়নি। কানুবাবুর ওই আন্দোলনক্ষেত্রে এখন পয়সা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে বিজেপি। মানুষই তা প্রতিরোধ করবে।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ফাঁসিদেওয়া কেন্দ্রে সিপিআইএম(লিবারেশন) প্রার্থী দিয়েছে। নকলাশবাড়িতে কোনও প্রার্থী নেই তাদের। কেন নেই? ইতিহাসই সেই উত্তর দেবে।