যশ মোকাবিলায় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাকে অগ্রাধিকার পুরসভার
গোদের ওপর বিষফোঁড়া যশ। তাই করোনা আর ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করতে একসঙ্গেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে কলকাতা পুরসভা (Kmc)। এসময় রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাতে অ্যাম্বুলেন্স (ambulance) পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়টি অগ্রাধিকার দিচ্ছে পুরসভা। ঝড়ের পর রাস্তায় ভেঙে পড়ে থাকা গাছ দ্রুত সরিয়ে ফেলার কাজ করা হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। গাছ সরিয়ে ফেলে হাসপাতাল রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সের জন্য তৈরি করে দেওয়া হবে গ্রিন করিডর। রোগীদের হাসপাতলে দ্রুত পৌঁছে দিতে যাবতীয় চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি পুরসভা।
সোমবার বরো আধিকারিকদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। পুরসভা সূত্রের খবর, রাস্তায় উপরে পড়া গাছ দ্রুত পরিষ্কার করার উপর বিশেষ জোর দিতে বলেছেন তিনি। মূলত অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের স্বার্থে। এছাড়া শহরের সমস্ত হাই মাস্ট লাইট নামিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে ঝড়ে কোনও ক্ষতি না হয়। ইতিমধ্যেই যে গাছের গোড়া আলগা হয়ে গিয়েছে, মাটি দিয়ে পোক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন বিপজ্জনক বাড়ি থেকে লোকজনকে সরানো হয়েছে। কমিউনিটি হল, স্কুলসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের রাখা হয়েছে। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার জানান, উম-পুন থেকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। যশের মোকাবিলায় যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে সেটাই আলোচনা করা হয়েছে। প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। উম-পুন থেকে শিক্ষা নিয়ে যশ থেকে শহরবাসীকে বাঁচাতে প্রস্তুত পুলিস। শহরকে ক্ষয়ক্ষতি মুক্ত রাখতে একাধিক আগাম সতর্কতা বার্তা দিয়েছে পুলিসের ট্রাফিক বিভাগ। ঘূর্ণিঝড়ের সময় গাছ, ভগ্নপ্রায় বাড়ি, বিলবোর্ড ইত্যাদির নীচে গাড়ি পার্কিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একই সঙ্গে কোনও পুলিসকর্মী যাতে এই সমস্ত জায়গায় না দাঁড়ান সে বিষয়ে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। কারণ ঝড়ের গতিবেগ প্রবল থাকলে তা ভেঙে নীচে পড়তে পারে। ঝড়ের সময় উড়ালপুলের উপর দিয়ে গাড়ি চালাতেও বারণ করা হয়েছে। বাড়িতে থাকা মোবাইল ফোন পুরো মাত্রায় চার্জ দিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। রাস্তা থেকে সমস্ত গার্ডরেল এবং পুরসভার বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার সরিয়ে ফেলতে বলেছে ট্রাফিক বিভাগ। বলা হয়েছে শুকনো খাবার মজুত রাখুন। জরুরি প্রয়োজনে সিইএসসি, রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর, বিপর্যয় মোকাবিলা দল, পুরসভা ও পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এদিন বিপর্যয় মোকাবিলার বিষয়ে অফসারদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। ছিলেন দপ্তরের ডিজি নীরজনয়ন পাণ্ডে, সচিব মনোজ আগরওয়াল প্রমুখ। মন্ত্রী জানান, প্রত্যেকটি ডিভিশন মিলিয়ে দমকলের ৫৪টি স্পেশাল টিম তৈরি করা হয়েছে। সদর দপ্তরে (২২৫২- ১১৬৫/৬১৬৪) থাকছে ১১টি। ঝড় থামলেই শহর এবং লাগোয়া অঞ্চলে ভেঙে পড়া সমস্ত গাছ দ্রুত সরিয়ে ফেলা হবে। রাজ্যের অন্যান্য ডিভিশনের কর্মীরাও এই কাজ করবেন।