ভালো পরিষেবা দিতে বিদ্যুৎ ‘মানচিত্র’ তৈরি করছে দপ্তর
গ্রাহকদের আরও ভালো পরিষেবা দিতে বিদ্যুৎ ‘মানচিত্র’ তৈরি করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। প্রতিটি বিদ্যুতের খুঁটিতে বারকোড লাগানো হবে। বিদ্যুৎদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর ফলে কোন এলাকায় কী ধরনের কত পোল রয়েছে তা সহজেই জানা যাবে। খুঁটিগুলির অবস্থানও জানা যাবে। বিদ্যুৎ মানচিত্র নামে অ্যাপে সবকিছু তথ্য থাকবে। অনেক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেলে খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয় বা কোন এলাকায় কতটা তার ছিঁড়েছে তা ঘটনাস্থলে না যাওয়া পর্যন্ত আন্দাজ করা যায় না। বিশেষ করে ফাঁকা মাঠে এই ধরনের সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু এই অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই তা জানা যাবে। কোন এলাকায় কতজন বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন সেই তথ্যও সেখানে থাকবে। তাই কোথাও হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরি হলে সেটাও বোঝা যাবে। অনেক শহরেই বিদ্যুৎ চুরি রুখতে কেবল বসানো হয়েছে। কিন্তু অনেক গ্রামে এখনও তা হয়নি। এই গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ চুরি হলে এবার থেকে জানা যাবে।
বিদ্যুৎদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটিতে বারকোড লাগানো শুরু হয়ে গিয়েছে। খুঁটিটি সাবস্টেশন থেকে কতটা দূরে রয়েছে সেটাও কোডের মাধ্যমে জানা যাবে। মুর্শিদাবাদ বিদ্যুৎদপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার সুশান্ত হাজরা বলেন, বিদেশে এই ব্যবস্থা অনেক আগেই চালু হয়েছে। আমাদের রাজ্যেও অনেক জায়গাতেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কোন জেলায় কত খুঁটি রয়েছে তার হিসেব এক ক্লিকেই পাওয়া যাবে। এর বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, এই প্রকল্পের ফলে অনিয়মও কমবে। এখন ঠিকাদার সংস্থাগুলির কথাতেই ভরসা করতে হয়। তারাই বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের কাজ করে। এই অ্যাপ হাতে থাকলে তাদের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করতে হবে না। অ্যাপের ডেটা দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আরও স্বচ্ছতা আনতে আগামী দিনে প্রিপেড মিটার বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
বিদ্যুৎদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান বলেন, গ্রাহকদের ভালো পরিষেবা দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জেলায় সাবস্টেশন তৈরিতেও জোর দেওয়া হয়েছে। তবে কয়েকটি জায়গায় জমির অভাবে এই কাজ শুরু করা যায়নি। বহরমপুরের কাশিমবাজারে সাবস্টেশন তৈরির কথা রয়েছে। কিন্তু এখানে জমি পাওয়া যায়নি। তারফলে সাবস্টেশন তৈরির কাজ শুরু হয়নি। আগামী দিনে এসব সমস্যা সমাধানেও জোর দেওয়া হবে।