রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বলি ২ জন
সোমবার রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের (Black Fungus) প্রথম বলি হলেন দু’জন। তাঁরা কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে নতুন এক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াল। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, এই প্রথম রাজ্যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। উল্লেখ্য, রবিবার সবমিলিয়ে ১২ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। যাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যুর পর আর আক্রান্ত রইলেন দশজন। সোমবার নতুন করে আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। তবে সন্দেহজনক আছেন ৫ জন রোগী।
এদিকে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ভীতির মাঝেই কিছুটা স্বস্তি। রাজ্যে ক্রমশ কমছে করোনার সংক্রমণ। গত কয়েকদিনের নিম্নমুখী গ্রাফেই আশার আলো দেখছেন চিকিৎসক মহল। সোমবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭,৮৩৩ জন। অর্থাৎ শেষ দশদিনে সংক্রমণ কমেছে তিন হাজারেরও বেশি। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের হেলথ বুলেটিন অনুযায়ী, ১৪ মে রাজ্যে সংক্রামিত হন ২০,৮৪৬ জন। এরপর থেকেই নামতে থাকে গ্রাফ। পরদিন সংখ্যাটা হয় ১৯,৫১১। ১৬ ও ১৭ মে তা আরও কমে হয় যথাক্রমে ১৯,১১৭ ও ১৯,০০৩। কিন্তু ১৮ মে ফের কিছুটা বেড়ে যায়। ওইদিন রাজ্যে সংক্রামিত হন ১৯,৪২৮ জন। ২০ মে করোনা আক্রান্ত হন ১৯,০৯১ জন। সংখ্যাটা শুক্রবার বেড়ে হয় ১৯,৮৪৭। যদিও গ্রাফের এই সাময়িক হেরফেরের পর তা আবার নামতে শুরু করে। শনিবার এক ধাক্কায় প্রায় এক হাজার সংক্রমণ কমে হয় ১৮,৮৬৩। রবিবার আরও কিছুটা কমে তা হয় ১৮, ৪২২। এরপরই সোমবার ১৭ হাজারের ঘরে নেমে আসে। শেষ দশদিনের এই নিম্নমুখী গ্রাফেই স্বস্তি পাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও মৃতের সংখ্যা টানা বেশ কয়েকদিন যাবৎই দেড়শোর উপরে। সেটাই আপাতত মাথাব্যথার কারণ। এদিকে, এদিনও করোনায় মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের এক ডাক্তারের। অতনুশঙ্কর দাস নামে ওই ব্যক্তি সিউড়ির চিকিৎসক ছিলেন। ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজও নিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সহযোগিতায় ও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কলকাতা পুলিস হাসপাতালকে ৩০০ বেডের করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী একথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড় যশ পূর্ববর্তী অবস্থায় হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। করোনা ও অন্যান্য চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন, জেনারেটর এবং খাবার সহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় জিনিস পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়। হাসপাতালগুলির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে প্রশাসন। এদিন এনআরএসে করোনা আক্রান্ত রোগী ও তার পরিজনদের খাবার সরবরাহের কাজ শুরু করে গৌড়ীয় মিশন। মন্ত্রী শশী পাঁজা চারদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।