দেশ বিভাগে ফিরে যান

মোদির আমলে বাড়ছে বেকারত্ব, তুলনায় ভালো আছে বাংলা

May 26, 2021 | 2 min read

মোদি-শাহের ‘সুশাসনে’ দেশে হু হু করে বাড়ছে বেকারত্বের হার (Unemployment Rate)। শহুরে এলাকা তো বটেই, গ্রামীণ এলাকাতেও এহেন প্রবণতা বাড়ছে। তবে গোটা দেশের এই চেহারার মধ্যেও অনেকটাই আলাদা অবস্থান বাংলার (West Bengal) । বেকারত্বের হারে দেশের অন্য অনেক রাজ্যের তুলনায় ভালো অবস্থায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনাধীন রাজ্য। গত এপ্রিল মাসে গোটা দেশের বেকারত্বের হার যখন ছিল আট শতাংশ, বাংলার বেকারত্বের হার তখন ৭.৬ শতাংশ। উল্টোদিকে রাজধানী দিল্লি (২৭.৩), বিজেপি শাসিত গোয়া (২৫.৭), হিমাচলপ্রদেশ (১১.১), শিল্পসমৃদ্ধ হরিয়ানা (৩৫.১), ঝাড়খণ্ড (১৬.৫), রাজস্থান (২৮.০) এবং ত্রিপুরার (১৭.৩) মতো রাজ্যে তখন সেই হার ডবল ডিজিটে পৌঁছে গিয়েছিল।

সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির (সিএমআইই) সমীক্ষা অনুযায়ী, গত ২৩ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে গোটা দেশে বেকারত্বের হার যেখানে পৌঁছেছে, তা গত বছরের জুন মাসের পর থেকে সবচেয়ে বেশি। এই সময়ে গোটা দেশে বেকারত্বের শতকরা হার ১৪. ৭৩ শতাংশ। যার মধ্যে শহর এলাকায় ১৭.৪ শতাংশ এবং গ্রামীণ এলাকায় ১৩.৫ শতাংশ। সিএমআইই’র পরিসংখ্যান গোটা দেশের এই অবস্থার মধ্যে চলতি মাসেও ভালো অবস্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই সময়ে রাজ্যের শহর এলাকায় বেকারত্বের হার নয় শতাংশের আশেপাশে আর গ্রামীণ এলাকায় তা আট শতাংশ ছুঁয়েছে।

সাপ্তাহিক এই পরিসংখ্যানের পাশাপাশি দৈনিক বেকারত্বের হারের যে পরিসংখ্যান চলতি মে মাসে মিলছে, তাও রীতিমতো চিন্তার। রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব। ভ্যাকসিন, অক্সিজেন আর ওষুধপত্রের অপ্রতুলতার সঙ্গেই বেকারত্ব বৃদ্ধির হার নিয়ে চিন্তায় গোটা দেশ। যদিও এই পরিস্থিতির মধ্যেই ফের ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’, খোয়াব বিলি করার কাজ শুরু করছে গেরুয়া শিবির। ‘ইমেজ বিল্ডিং’এর কাজ শুরু করেছে তারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নানা কাজকর্মকে কোলাজ করে ‘সুশাসন কি সাত সাল’ প্রচার শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে পদ্মশিবির। 

সিএমআইই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের সময় গোটা দেশে বেকারত্বের হার সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছিল। সেবার এপ্রিল মাসে ২৩.৫ শতাংশ এবং মে মাসে ২১.৭৩ শতাংশে পৌঁছেছিল বেকারত্বের হার। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ লকডাউন না হওয়া সত্ত্বেও, কেন এই হারে বেকারত্ব বাড়ছে, তা নিয়ে চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা। গত ২৩ মে যে সপ্তাহ শেষ হয়েছে, তাতে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় বেকারত্বের হার বেড়েছে ২.৭ শতাংশ। এই সময়ে বরং গ্রামীণ এলাকার বেকারত্বের হার কমেছে ০.৮ শতাংশ।

সিএমআইই’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দৈনিক বেকারত্বের হারেও রেকর্ড গড়ছে চলতি মে মাস। গত পয়লা মে (শ্রমিক দিবস) দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৯১ শতাংশ। ওইদিন শহর এলাকায় ৯.৬ এবং গ্রামীণ এলাকায় ৭.১২ শতাংশ ছিল বেকারত্ব। এরপর মাত্র ২০ দিনে গোটা দেশের বেকারত্বের হার পৌঁছে যায় ‘ডবল ডিজিটে’। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব বেড়েছে শহর এলাকায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২০ মে গোটা দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৯.৯৮ শতাংশ। তারপর দিনই (২১ মে) তা পৌঁছে যায় ১০.২৬ শতাংশে (আলাদা করে শহর এলাকায় ১২.১৭ এবং গ্রামীণ এলাকায় ৯.৪ শতাংশ)।

 সিএমআইই’র শেষ হিসেব এসেছে সোমবারের (২৪ মে)। ওইদিন গোটা দেশের বেকারত্বের হার ছিল ১০.৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে শহর এলাকায় ১২.৯৮ এবং গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের হার ছিল ৯.৭৬ শতাংশ। শহর এলাকার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গ্রামের বেকারত্ব। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#unemployment rate, #unemployment

আরো দেখুন