করোনা পরিস্থিতিতে দেখা নেই নিশীথের, ক্ষোভ কোচবিহারে
বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হতে না হতেই আবারও করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে কোচবিহার (Cooch Behar) জেলাতেও একইভাবে কোভিড পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে কোচবিহারের এমপি নিশীথ প্রামাণিককে (Nisith Pramanik) দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যখন মহামারীর এই সময়ে কোভিড রোগীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তখন এমপি’র দেখা না পাওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ নিয়ে বিজেপির নিচুতলাতেও ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।
কোচবিহার জেলার ন’টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটিতে এবারের বিধানসভা ভোটে বিজেপি (BJP) জয়ী হয়। সাত বিধায়কের মধ্যে একাংশ বিধায়ককে এমপি’র মতোই করোনার এই কঠিন সময়ে সক্রিয়ভাবে ময়দানে দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, বিধায়করা তাঁদের সাধ্যমতো কাজ করছেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, তাঁরাও বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। হোম আইসোলেশনে থাকা সংক্রামিতের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে সেফ হোমে থাকা রোগীদের কাছে ফল দিয়ে আসছেন।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভোট নিয়েছে। এমপি’কে ভোটে দাঁড় করিয়ে এমএলএ বানান। এমএলএ আবার ইস্তফা দিয়েছেন। মানুষের পাশে থাকার মতো মানসিকতা বিজেপির নেই। সেই বার্তা আমরা মানুষকে বারবার দিয়েছি। মহামারীর প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। এমপি তো ভোটপাখি। ঠিক ভোটের মুহূর্তে তাঁকে দেখা যায়। অন্য সময়ে তাঁর পাত্তাই মেলে না। বিজেপির বিধায়কদের অবস্থাও প্রায় একই। করোনা মহামারীতে তাঁদের বিন্দুমাত্র ভূমিকা নেই। চারিদিকে সমালোচিত হয়ে কেউ কেউ আবার ময়দানে নামার নাটক করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে আমরা আগেও মানুষের পাশে ছিলাম, এখনও আছি।
কোচবিহারের এমপি নিশীথ প্রামাণিককে বুধবার একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, জেলায় আমাদের বিধায়করা যথাসাধ্য মানুষের পাশে আছেন। আমি নিজেও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এমপি নিশ্চয় রাজ্য বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তবে তিনিও মানুষের সঙ্গেই আছেন। কোচবিহারের বিধায়ক বিজেপির নিখিলরঞ্জন দে বলেন, যাঁরা এসব বলছেন তাঁরা একটি রান্নাঘরের পোস্টার টাঙিয়ে দিচ্ছেন। এমন পোস্টার আমরাও লাগাতে পারি। কিন্তু, আমরা প্রচারের জন্য পোস্টার লাগাই না। আমরা বাস্তবে কাজ করি। আমি করোনা মোকাবিলায় আমার মতো কাজ করছি। এ জন্য প্রচারের কোনও বিষয় নেই। আমার বিধানসভায় সেবামূলক কাজ প্রতিদিন প্রতিনিয়ত চলছে। আমরা কাজ করছি কি না, তার বিচার মানুষই করবে।