জলোচ্ছ্বাসে ভাসল মহেশতলা, ফলতা, বজবজ
যশের দাপটে জলোচ্ছ্বাসের জেরে বুধবার মহেশতলা (Maheshtala), বজবজ (Budge Budge), পুজালি—এই তিন পুরসভা ছাড়াও বজবজ-১, বজবজ-২, ফলতা, রায়চক পর্যন্ত নদীবাঁধ টপকে বহু পাড়া ও গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে। কোথাও কোথাও নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে। জলমগ্ন হয়েছে ফলতা ও বজবজ থানা। নদীবাঁধের ধার ঘেঁষে মহেশতলা, বজবজ, পুজালি এই ৩ পুরসভা। একইভাবে বজবজ-১ এর মায়াপুর এবং বজবজ-২ এর ৪টি অঞ্চল ছাড়া ফলতাও রয়েছে। এদিন কোটালের জল বেড়ে যাওয়াতে হুগলি নদী অনেকটাই ফুলেফেঁপে ছিল। তার সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ও মুষলধারে বৃষ্টি নদীগর্ভ আরও তেতে ওঠে। সাড়ে ১১ টার পর থেকে জলোচ্ছ্বাস শুরু হলে পুজালি পুরসভার ২ ও ৩ নম্বর সর্দার পাড়ায় বাঁধ টপকে জল ঢুকে যায়। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাভাটার কাছে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণমন্দির পাড়ার কাছে বাঁধ উপছে জল ঢুকেছে।
পুর চেয়ারম্যান তাপস বিশ্বাস ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ওই এলাকার অলিগলি, রাস্তা হাঁটুর উপর জল। সব মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষকে এদিন সরানো হয়েছে।
বজবজ পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, আপাতত ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভিতর নদী উপছে জল ঢুকেছে। বজবজ থানার কাছে বাঁধ ভেঙে লাগোয়া পাড়াগুলি প্লাবিত হয়েছে। বাঁধের উপর কোথাও ১ ফুট, কোথাও দেড় ফুট উপর দিয়ে জল বইছে। মহেশতলা পুরসভার আকড়া ফটক ও নুঙ্গি স্টেশনের কাছে নদীর জল ঢুকে অনেকটা এলাকা ভাসিয়ে দিয়েছে।
বিধায়ক দুলাল দাস জানান, ওই জায়গা থেকে লোকজনকে সরানো হয়েছে। অন্যদিকে, বজবজ-২ ব্লকের ডি রায়পুর, গজাপোয়ালি, বুড়ুল সহ ৪টি অঞ্চলের বহু জায়গাতে বসত ও চাষের জমি ডুবেছে।
পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বুড়ুলের দু’টি জায়গাতে বাঁধ ভেঙেছে। রায়পুর জেটির কাছে একটি অংশ বসে গিয়ে জলমগ্ন হয়েছে এলাকা। বিডিও, নোদাখালি থানার আইসি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের প্রতিনিধিদের সহায়তায় বহু মানুষকে সরানো গিয়েছে। বজবজ-১ এর মায়াপুরে নদী উপছে জল ঢুকেছে। অনেক মানুষকে সরিয়ে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলতার রায়চক, নুরপুর সহ অনেক জায়গাতে বাঁধ টপকে গ্রামীণ জনপদ ভেসে গিয়েছে। রাতেও ওইসব জায়গাতে জল রয়েছে।