সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে শুরু দুয়ারে শিক্ষক
দুয়ারে সরকার (government) এসেছে। দুয়ারে রেশন (ration)আসতে শুরু করেছে। কিন্তু শিক্ষক? সেটাও হয়েছে। এবার চালু হয়েছে ‘দুয়ারে শিক্ষক’ পরিষেবা।
না এঁরা দুয়ারে গিয়ে বিশেষ কোনও শিক্ষা দিয়ে আসছেন না। জানা গিয়েছে, কোভিড মহামারীতে (pandemic) মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে শুরু হয়েছে দুয়ারে শিক্ষক (teacher) পরিষেবা। কাজটা করছেন শিক্ষকরা। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল (tmc) মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির উদ্যোগে এবং পরিচালনায় সারা জেলায় কোভিড আক্রান্ত গরীব পরিবারকে পুষ্টিগত খাবার তুলে দিতে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ” দুয়ারে শিক্ষক” নামে একটি পরিষেবার সূচনা হল বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে(jalpaiguri)।
সমাজপাড়া সমিতির অফিস তথা জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয় গুরজাংঝোড়া বিল্ডিং এ একটি মিটিং হয়। সেখানে পরিষেবা প্রদানের অঙ্গ হিসাবে সমিতির শিক্ষক- শিক্ষিকারা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে শুকনো খাবার, এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ আহার চাল, মুসুর ডাল, ছোলা, সোয়াবিন, দুধ, ডালিয়া, খেজুর, বিস্কুট এবং সাবান সরবরাহ করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভার বিধায়ক প্রদীপ কুমার বর্মা, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কনভেনার অঞ্জন দাস সহ অন্যান্যরা। কনভেনার অঞ্জন দাস বলেন ‘গোটা জেলার পাশাপাশি ২৫টি ওয়ার্ডের প্রায় পাঁচ শতাধিক করোনা আক্রান্ত পরিবারকে শুকনো পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যে চালু হয়ে হয়ে গিয়েছে ‘দুয়ারে রেশন’ (Duare Ration) প্রকল্প। যদিও আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ধাপে-ধাপে রাজ্যজুড়ে এই প্রকল্প চালু করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শনিবার মালদহের (Maldah) হবিবপুরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। এদিন হবিবপুরের ডোবাপাড়ার শতাধিক পরিবারের হাতে রেশন (Ration) সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির দোরগোড়ায় রেশন সামগ্রী পেয়ে বেশ খুশি উপভোক্তারা।
প্রতিশ্রুতি পূরণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিধানসভা ভোটের (Assembly Election) আগে প্রায় সব সভা-সমাবেশে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষকে আর বাড়ি থেকে দূরে রেশন দোকানে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করতে হবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে তাঁদের বাড়ির দোরগোড়ায় এই রেশন সামগ্রী বিলির বন্দোবস্ত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী।
রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরলেই তাঁর সরকার এই প্রকল্প চালু করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। কথা রেখেছেন জননেত্রী। ক্ষমতায় এসেই ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত করে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। কীভাবে এই প্রকল্প সাধারণ মানুষের বাড়ির দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া যাবে তা নিয়ে একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়। সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের সঙ্গে এব্যাপারে দফায়-দফায় আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনাকালে (Corona) সব ধরনের কোভিড বিধি (Covid Protocols) মেনে এই প্রকল্প রাজ্যের কোনায় কোনায় কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে তা নিয়ে সবিস্তারে গত কয়েক দিন ধরে আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।