রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

নবান্নে প্রশাসনিক ঘূর্ণিঝড় মমতার, ৩ ঘন্টায় ১৫৮৪টি সমস্যার সমাধান মুখ্যমন্ত্রীর

May 27, 2021 | 2 min read

গড়ে প্রতি মিনিটে একটি ফোন। আর তিন ঘণ্টার মধ্যেই সমাধান হলো ৯৬ শতাংশ সমস্যার! ঘূর্ণিঝড় যশের (Cyclone Yaas) মোকাবিলায় মঙ্গলবার সকাল থেকে তৈরি ছিল নবান্নের কন্ট্রোল রুম (Nabanna Control Room)। প্রশাসনিক অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে সামনে থেকে সেই কন্ট্রোল রুমে মঙ্গলবার রাতভর নজরদারি চালিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফোন করেছেন সব জেলাশাসককে (DM)। প্রত্যেকের শরীর স্বাস্থ্যের কথা যেমন জানতে চেয়েছেন, তেমনই জানতে চান ঝড় মোকাবিলার কাজ কেমন চলছে। এর পর বুধবার সকাল থেকেই গাছ পড়া, বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা,পানীয় জলের অভাব, বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়া-সহ হাজারো সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর কন্ট্রোল রুমে ফোন করেছে আমজনতা । বেলা যত গড়িয়েছে ততই ঘন ঘন বেজে উঠেছে কন্ট্রোলরুমের ফোন। সুরাহাও মিলেছে। বুধবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, তিন ঘণ্টার মধ্যেই সমাধান করা সম্ভব হয়েছে ৯৬ শতাংশ সমস্যার ।

দুর্যোগ মোকাবিলায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ তিনি ঢুকেছিলেন নবান্নে। তার পর প্রায় ৩০ ঘণ্টা তিনি প্রশাসনিক অফিসারদের নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় নজরদারি চালিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতভর ১৪ তলার নিজের দপ্তর থেকে বার বার তিনতলায় কন্ট্রোল রুমে গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন, কোথায় কেমন পরিস্থিতি। রাতে হাল্কা খাবার খেয়ে ফের নেমে পড়েন কাজে।

নবান্ন সূত্রের খবর, এ বার প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর তাদের কন্ট্রোল রুমকে দু’ভাগে ভাগ করেছিল । নবান্নে সারাবছর চালু থাকা কন্ট্রোল রুমটি প্রধানত প্রশাসনিক কাজেই ব্যবহার করা হয়েছে। এলইডি স্ক্রিনে দুর্গত এলাকাগুলিতে কখনও আধিকারিকরা, কখনও মুখ্যমন্ত্রীও নজরদারি চালান। সকালে সাগরের সিসিটিভি ক্যামেরার পোল ঝড়ে পড়ে সেখান থেকে ছবি আসা বন্ধ হয়। অন্যান্য জায়গা খেকে ছবি আসছিল। আমজনতার ফোন ধরা হয়েছে লাগোয়া উপান্নে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কন্ট্রোল রুম থেকে। যেখানে পাঁচ আধিকারিকের অধীনে ২৫ জন টেলিফোন অপারেটার সামাল দিয়েছেন আমজনতাকে। তাঁদের প্রত্যেকের ফোনের সঙ্গে ছিল কম্পিউটার টার্মিনাল । যেখানে আমজনতার বক্তব্য রেকর্ড করে লিখিত আকারে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক ও বিডিও অফিসে মুহুর্তে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল।

জেলা প্রশাসন থেকে তিন ঘন্টার মধ্যেই আ্যকশন টেকেন রিপোর্ট দিতে হয়েছে উপান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কন্ট্রোলরুমে। উপান্ন কন্ট্রোল রুমে ফোন যখন উপচে পড়ছে, তখনই নবান্নর কন্ট্রোলরুমের পাঁচটি ফোন সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিকদের কথায়, দুই কন্ট্রোলরুমে টানা বারো ঘণ্টার প্রতিটি শিফটে কাজ করেছেন ৩৯ জন কর্মী ও আধিকারিক । এ দিন পর্যন্ত ফোন এসেছে ১৫৮৪টি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Mamata Banerjee, #Nabanna, #solutions

আরো দেখুন