দীঘা উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব মুখ্যসচিবকে দিলেন মমতা
একদিকে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিরাট দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাঁধে। তার মধ্যেই গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ঘূর্ণিঝড় যশ বা ইয়াস লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলা। সাইক্লোন মোকাবিলায় প্রায় ৩০ ঘণ্টা নবান্নে কাটিয়েছিলেন তিনি। আবার আজ ভরা কোটাল ও ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত একাধিক এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রীর অভিভাবকসুলভ রূপটি ধরা পড়ল। সাংবাদিক সম্মেলনের মাঝেই জেলাশাসকের খবর নিলেন তিনি।
এদিন দিঘায় ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas) সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারচুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিডিও। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝিও। সেখানেই নানা প্রশাসনিক কাজ আলোচনার পর পূর্ণেন্দু মাঝির শারীরিক অবস্থা কেমন আছে জানতে চান মমতা। সম্প্রতি যিনি মারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। জিজ্ঞেস করেন, “পূর্ণেন্দু, তুমি শরীরের যত্ন নিচ্ছ? তুমি অসুস্থ অবস্থাতেও ঘর থেকে কাজ করছ। নিজেকে কিন্তু অবহেলা কোরো না। কারণ এই রোগটা অবহেলা করলেই বাড়ে। তাই সুস্থ থেকো। কেউ কিছু মনে করবে না। কারণ সবাই জানে তুমি অসুস্থ। তোমার টিম আছে, টিমই কাজ করবে।”
তবে এই নতুন নয়, বরাবরই ‘দিদিমণি’ এমনই। নিজের প্রশাসনিক আধিকারিকদের শরীরের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন তিনি। এক্ষেত্রে কে কোন পদে রয়েছেন, তার ভেদাভেদ করেন না। তাঁর এই অভিভাবকসুলভ আচরণের জন্য প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের কাছেও তিনি অত্যন্ত আপন হয়ে ওঠেন। হাজার ব্যস্ততা, দায়িত্বের মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রীর স্বভাবসিদ্ধ ব্যবহারই ফের প্রকাশ পেল এদিন।
এদিকে, এদিনের বৈঠকে দিঘাকে (Digha) দ্রুত পর্যটকদের জন্য সাজিয়ে তোলার নির্দেশ দিলেন মমতা। আপাতত দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব দিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Banerjee)। ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নেওয়ার পরই দুর্গতদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে নজর দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।